চলতি অর্থবছরে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে যেসব দেশ থেকে

জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে দেশে এসেছে ৪১২ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে আরব আমিরাতের প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আর সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫১ কোটি ৩৩ লাখ, ৩৮ কোটি ২৫ লাখ, ৩৬ কোটি, ২৭ কোটি ৯৯ লাখ, ২৪ কোটি ৫১ লাখ, ২১ কোটি ৪৭ লাখ, ১৭ কোটি ৬৩ লাখ ও ১১ কোটি ৮৬ লাখ মার্কিন ডলার।

এদিকে, গত আগস্ট মাসে প্রবাসীরা দেশে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এছাড়া, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ২৫ থেকে ৩১ আগস্ট দেশে এসেছে ৫০ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আগস্টের ১৮ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ আগস্ট দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এছাড়া, ৪ থেকে ১০ আগস্ট দেশে এসেছিল ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর ১ থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।