জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারী ও প্রভাবশালীদের রাবন-রাজত্ব। দখল হতে হতে ধংসের পথে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ বনাঞ্চল। ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায় না সাধারণ মানুষ। কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না থাকায় ক্ষুব্ধ তারা।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাগরদীঘি ইউনিয়নের ফুলমালির চালা মৌজায় এক হাজার সাত’শ ১৬ একর জমি বন বিভাগের। কিন্তু অর্ধেকেরও বেশি জমিতে চাষ হচ্ছে ধানসহ নানা ফসল। এছাড়া টাকার বিনিময়ে এ মৌজায় ডুপ্লেক্স ভবনসহ নানা স্থাপনা নির্মাণও হচ্ছে। শুধু ভবন নয়, টাকার বিনিময়ে উৎপাদনমুখী বিভিন্ন কারখানার কাছে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। টাকা দিলে শুধু খুঁটি পরিবর্তন নয়, নতুন ঘর নির্মাণ করতেও সহযোগিতা করে বন বিভাগ। অবৈধ টাকার ভাগ বনকর্মী থেকে বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পকেটেও চলে যায়।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারলেও ভূমিহীন ও ছিন্নমূল মানুষদের ঘরের একটি পুরাতন খুঁটি পরিবর্তন করতে হলেও বন বিভাগকে টাকা দিতে হয়। আর টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে দেয়া হয় মামলা। অসংখ্য মামলা কাঁধে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এসব এলাকার লোকজন। সাধারণ মানুষের কাছে বন বিভাগ মানেই মূর্তিমান আতঙ্ক।
যদিও নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও বনকে আগলে রাখার চেষ্টা করছেন বলে দাবি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তারা। এ অঞ্চলের অর্ধেকেরও বেশি বনভূমি প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।