পা উঁচিয়ে ‘প্রাণরক্ষার সংকেত’ দিচ্ছে কুমির, এর আচরণের কারণ কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পানিতে দেহ লুকিয়ে হাওয়ায় পা উঁচু করে ‘প্রাণরক্ষার ইঙ্গিত’ দিচ্ছে কুমির। ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম বারিটো নদীতে এমনটাই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।

স্থানীয়দের ধারণা, কুমিরটি অন্যকে পানিতে নামতে প্রলুব্ধ করার জন্য ‘ডুবন্ত মানুষের নকল’ করতে শিখেছে। ভিডিওতে ভাইরাল হওয়ার পরে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্য সরীসৃপের এমন আচরণ শেখার ‘কোনো উপায় নেই’ বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

কুমিরের এমন আচরণের কারণ কী?

চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষ ও কুমির সংঘাত বিষয়ক গবেষক ব্র্যান্ডন সিডেলো ইয়াহু নিউজকে বলেন, এর আগেও কুমিরের এমন অস্বাভাবিক কৌশল দেখা গেছে। কুমির শিকারকে কাবু করে খাওয়ার চেষ্টা করতে কৌশল ব্যবহার করে। তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখা কুমিরটি সম্ভবত এরই মধ্যে মাছ ধরতে শিখে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কুমিরটির এমন আচরণের আরেকটি কারণ হতে পারে স্নায়বিক অবস্থা (মাথাব্যাথা, মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়া, মেমরি সমস্যা, জ্ঞানীয় অসুবিধা ইত্যাদি)। যার ফলে কুমিরটি অস্বাভাবিক আচরণ প্রদর্শন করতে পারে। তবে এর সম্ভাবনা কম।

অ্যালিগেটর বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার জিলেটও বিশ্বাস করেন, কুমিরটির এই কৌশলের সাথে ‘মানুষকে প্রাণরক্ষার ইঙ্গিত’ দেওয়ার কোনো যোগসূত্র নেই।

‘আমরা যা ভাবি, প্রাণীরা তার চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান’

তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত ভিডিওর ‘মূল বার্তাটি’ আটকে রাখতে পারেনি। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, কুমিরগুলো বার বার মানুষের কাছে ধরা পড়ার কারণে ডুবন্ত মানুষের অনুকরণ করতে শিখেছে।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এক নারী মন্তব্য করেছেন, ‘দেখতে একদম মানুষের হাতের মতো!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমরা যা ভাবি, প্রাণীরা তার চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান!’ আরেকজনের দাবি, ‘সহানুভূতি পাওয়ার জন্য চোখের জল ফেলতেও শিখেছে প্রাণীরা।’

দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে এ বছরে আসবে যেসব অ্যান্ড্রয়েড ফোন

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় দুই লাখ লবণাক্ত পানির কুমির রয়েছে। এটি বিশ্বের মোট কুমিরের অর্ধেক। কিন্তু সেখানে বছরে মাত্র একটি বা দুটি কুমির মারা যায়। আর ইন্দোনেশিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশে কুমিরের বেশি মৃত্যু হয়। বিশেষ করে যেসব দেশে নদীর গভীরতা ভালো নেই।