জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সদাই গ্রামের মাঝে ফুলজোর নদীর শাখা খালের ওপর মাত্র সম্প্রতি নির্মাণ করা হয় একটি বক্স কালভার্ট। তবে নির্মাণের মাত্র তিন মাসের মাথায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে সেটি ধসে পড়েছে। ফলে উভয়পাড়ের লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটি তৈরি করায় এটি ভেঙে পড়েছে। প্রকল্প সভাপতি বলছেন প্রবল বৃষ্টির কারণে দুইপাশ ও নিচের মাটি সরে যাওয়ায় কালভার্টটি ধসে পড়ে।
জানা গেছে, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নটির জন্য উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের প্রকল্প থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুট লম্বা এবং ১৪ ফুট চওড়া বক্স কালর্ভাটটি নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণকাজ শেষে ৩ মাস আগে সেটি স্থানীয়দের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলীম।
তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আলীম বলেন, নির্মাণকাজে উন্নত সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে খালের দুই পাশের এবং নিচের অংশের কিছু মাটি ধসে যাওয়ায় কালভার্টটি ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে খালটি কানায় কানায় পূর্ণ। পানি কমে গেলে ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।
সদাই গ্রামে বক্স কালভার্ট ধসে পড়ার কারণ সম্পর্কে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহারের কারণে এটি হতে পারে। খালের নিচের মাটির কালভার্টের ভার বহনের ক্ষমতা ছিল কিনা সেটাও দেখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে নিচের বেজ ঢালাইয়ের গভীরতা কম-বেশির ওপর কালভার্টের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে। এক্ষেত্রে হয়তো বেজের গভীরতা কম ছিল। এছাড়া খালের পানির স্রোতের তীব্রতা অনেক সময় কালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি নিষ্কাশনকে বাধাগ্রস্ত করে। সেক্ষেত্রে কালভার্টের মুখের প্রশস্ততা কম হলে এটি ভেঙে যেতে পারে।
এ বিষয়ে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, ৩ লাখ টাকায় এ ধরণের কালভার্ট যথাযথভাবে নির্মাণ কখনই সম্ভব নয়। তারপরও স্থানীয় জনগণের সমস্যা সমাধানে তার সদস্য এটি তৈরি করেছিলেন। নতুন করে কালভার্টটি নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।