লাইফস্টাইল ডেস্ক : চারপাশে ডেঙ্গুর উপদ্রব। মশা তাড়াতে অনেকেই হয়তো কয়েল জ্বালাচ্ছেন বাড়িতে। কিন্তু এসব কয়েল স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকারক তা কি জানেন? আপনি হয়তো নিজের অজান্তেই ডেকে আনছেন বিপদ। তাই জেনে নেওয়া যাক মসকুইটো কয়েল অর্থাৎ মশা তাড়ানোর ধূপ বাড়িতে জ্বালিয়ে রাখলে ঠিক কী কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
জেনে নিন সমস্যাগুলো-
শ্বাসকষ্টের সমস্যা- মশা তাড়ানোর ধূপ জ্বালালে যে ধোঁয়া বের হয় তার থেকে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। এ ছাড়াও নাক জ্বালা, গলা ব্যথা, কাশির মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে কিংবা অ্যাজমা রয়েছে, অথবা ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই মশা তাড়ানোর ধূপ থেকে দূরে থাকুন। কোনভাবেই মশার উপদ্রব কমানোর জন্য ঘরে মসকুইটো কয়েল জ্বালাবেন না। মশা তাড়ানোর জন্য সাধারণত যেসব কয়েল বা ধূপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার ধোঁয়া আপনার ফুসফুসের উপরেও প্রভাব ফেলে। ফলে প্রাথমিকভাবে কাশির সমস্যার পাশাপাশি পরবর্তীকালে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারসিনোজিনস থাকে মশা তাড়ানোর ধূপ বা মসকুইটো কয়েলের মধ্যে। এর মাধ্যমেই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
মশার কয়েলের ধোঁয়ায় যেসব ক্ষতি হতে পারে
সেনসিটিভ স্কিনে হতে পারে সমস্যা- যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল অর্থাৎ সেনসিটিভ স্কিন তাদের ক্ষেত্রে মশা তাড়ানোর ধূপ থেকে ত্বকে অ্যালার্জি, র্যাশ, চালুকানি, লালভাব ইত্যাদি অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ভারী ধাতব অর্থাৎ হেভি মেটাল-জাত উপকরণ থাকে মসকুইটো কয়েলের মধ্যে। এই তালিকায় রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম। এইসব ধাতব উপকরণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাথা ব্যথার সমস্যা- যাদের মাথা যন্ত্রণা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তারা ঘরে মসকুইটো কয়েল না রাখাই ভালো। বিশেষ করে খুব অল্পেই যাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায় তারা মশা তাড়ানোর ধূপের ধোঁয়া, গন্ধ কিছুই সহ্য করতে পারেন না। আর এই গন্ধ খুবই তীব্র হয়। অতএব মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে সাবধানে থাকুন। এমনিতেও ঘরে মসকুইটো কয়েল জ্বালানো থাকলে ওই তীব্র গন্ধ এবং ধোঁয়ায় একটা দমবন্ধ করা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। তাই এই জাতীয় ধূপ ঘরে না জ্বালানোই উচিত। বাড়িতে বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষ থাকলে মসকুইটো কয়েল থেকে তাদের অবশ্যই দূরে রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।