বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী উপাসনা সিং, টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করে বেশ খ্যাতি কুড়ান। তবে ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’ শোয়ে যুক্ত হয়ে দারুণ খ্যাতি পান তিনি। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজের সুযোগের জন্য কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছেন এই তিনি। গণোমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ৪৯ বছরের এই অভিনেত্রী।
সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে উপাসনা সিং বলেন, দক্ষিণের একটি বড় বাজেটের সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সিনেমাটিতে অনিল কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল। আমি কোনো পরিচালকের অফিসে গেলে মা অথবা বোনকে সঙ্গে নিয়ে যেতাম। একদিন সিনেমাটির পরিচালক জানতে চান, মা-বোনকে কেন সঙ্গে নিয়ে আসি। একবার রাত সাড়ে ১১টা সময়ে আমাকে ফোন করে হোটেলে যেতে বলেন ওই পরিচালক। কারণ হিসেবে জানান, সিনেমার বিষয়ে আলোচনা আছে। আমি জোর করে বলি, পরের দিন গল্প শুনব। কারণ সেখানে যাওয়ার জন্য আমার কাছে গাড়ি ছিল না। কিন্তু তারপরও সে বলে, ‘তুমি কি বসার মানে বোঝ না?
পরিচালকের সঙ্গে এসব কথাবার্তার পর সারারাত ঘুমাতে পারেননি উপাসনা। এই অভিনেত্রী বলেন, সেই পরিচালকের অফিস ছিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রায়। পরের দিন সকালে আমি তার অফিসে যাই। গিয়ে দেখি তিনি ৩-৪ জন লোকের সঙ্গে মিটিং করছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী আমাকে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু আমি অপেক্ষা না করে তার রুমে ঢুকে সবার সামনে পাঞ্জাবি ভাষায় ৪-৫ মিনিট গালিগালাজ করি। কিন্তু যখন আমি পরিচালকের অফিস থেকে বের হই, তখন মনে পড়ে আমি তো অনিল কাপুরের বিপরীতে সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এরপর ফুটপাতে হাঁটার সময়ে কান্না থামাতে পারিনি।
এ ঘটনার পর টানা সাতদিন আমি আমার ঘর থেকে বের হইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরামহীন কান্না করেছি। বিস্মিত হচ্ছিলাম এই ভেবে যে, মানুষকে আমি কি জবাব দেব! কিন্তু এই সাতদিন মানসিকভাবে আমি আরো শক্ত হয়েছিলাম। আমার মা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি কখনো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ত্যাগ করব না।
আশির দশকের শেষের দিকে রাজস্থানি সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। ১৯৮৯ সালে ‘পাপ কি সাজা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত সুপারহিট সিনেমা ‘জুদাই’। সিনেমাটিতে উপাসনা সিংয়ের পাঞ্চ লাইন ‘আব্বা ডাব্বা জাব্বা’ আজও লোকমুখে ফেরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।