বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : নাসা বর্তমানে হ্যাবিটেবল ওয়ার্ল্ডস অবজারভেটরি (এইচডব্লিউও)-এর পরিকল্পনা করছে। আগামী ২০৩০-এর দশকে এটির কাজ শেষ হতে পারে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পর এবার মহাশূন্যে আরেকটি টেলিস্কোপ পাঠাতে চায়। যার কাজ হবে আমাদের পৃথিবীর মতো সমধর্মী গ্রহগুলোতে প্রাণের অনুসন্ধান চালানো।
এ প্রকল্পের নাম হ্যাবিটেবল ওয়ার্ল্ডস অবজারভেটরি (এইচডব্লিউও)। আগামী ছয় বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া এ দশকের শেষ ভাগে কাজ শুরু করবে এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ (ইএলটি)। এ যন্ত্র চিলির মরুভূমিতে বসানো হবে। এটি সেখান থেকেই দূরের গ্রহে প্রাণ আছে কি না তা জানার চেষ্টা করবে।
নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) সম্প্রতি সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছে। এ ছাড়া এ টেলিস্কোপটি আরও অনেক গ্রহের ওপর অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ‘আমাদের এ মহাবিশ্ব অসীম। এর গ্রহ-নক্ষত্রের সংখ্যাও অনন্ত। আর আমাদের অনেকের কাছে এখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে এ মহাবিশ্বের একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে কেবল আমরাই থাকতে পারি না,’ বলেন স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যালের অধ্যাপক ক্যাথেরিন হেইম্যানস।
নাসার জেডব্লিউএসটি বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বড় টেলিস্কোপ। কিন্তু গ্রহ থেকে প্রতিফলিত হওয়া মাত্রাতিরিক্ত দীপ্তির কারণে এটির পক্ষে অনেক দূরে অবস্থিত পৃথিবীর মতো ছোট গ্রহে প্রাণের সন্ধান করা সম্ভব নয়। তাই নাসা এ সমস্যা সমাধানে বর্তমানে হ্যাবিটেবল ওয়ার্ল্ডস অবজারভেটরির পরিকল্পনা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।