জুমবাংলা ডেস্ক : ডলারের সংকট কাটাতে বিলাসী পণ্যসহ সার্বিক আমদানিতে নানা শর্ত আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যার সুফল আসতে শুরু করেছে। কমেছে আমদানির এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার পরিমাণ। যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম।
রোববার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম ১১২ থেকে ১১৪ টাকায় নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবারও এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হয়েছিল ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। অর্থাৎ তিন দিনের ব্যবধানে খোলা বাজারে ডলারের দাম কমেছে ৬ থেকে ৮ টাকা।
একইসাথে সাম্প্রতিক সময়ের চরম অস্থিতিশীল ডলার বাজারের মধ্যেই ব্যাংকারসহ অনেকে জড়িয়ে পড়েন ডলার কারসাজিতে। অনেকে আবার প্রয়োজন ছাড়াই ডলার কিনে জমা করেন, যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠে। এ পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। অভিযানে নামে বাংলাদেশ ব্যাংক। তৎপরতা বাড়ায় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। একইসাথে ক্রেতাও কমে আসে বাজারে। এতে দুদিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১১২ টাকায় নেমেছে।
রোববার রাজধানীর পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিল এলাকায় খোলাবাজারে ১১২-১১৪ টাকা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। তবে পাসপোর্ট ও ভিসার কাগজপত্র দেখিয়ে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে ১১০-১১২ টাকায় কেনা যাচ্ছে ডলার।
জানা গেছে, খোলাবাজারে ডলারের অস্বাভাবিক দাম ওঠায় অনেক গ্রাহকের অনাগ্রহ তৈরি হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযানের পরও খোলাবাজারের অস্থিরতা কমেনি। এ কারণে বিদেশগামীদের ডলার যোগাড়ে বেগ পেতে হচ্ছিল।
তবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো দাবি করছিল, বাজারে যে হারে ডলারের চাহিদা বাড়ছে, ওই হারে সরবরাহ নেই। যার প্রভাবে ডলারের দাম বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় মানি এক্সচেঞ্জগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দেশের সব ব্যাংকের শাখায় শাখায় ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।