আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ভিসুভিয়াসের গ্রাসে হারিয়ে যাওয়া রোমান শহর পম্পেইকে হারিয়ে কম্বোডিয়ার আঙ্করভাট মন্দির অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এশিয়ার গর্ব এই প্রাচীন মন্দিরের বিস্ময়কর সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা। তাই সারা বছরই আঙ্কোরভাটে লেগে থাকে ভিড়। পৃথিবীর আশ্চর্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা যায়, দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা দ্বিতীয় সূর্যবর্মনের তৈরি আঙ্কোরভাট মন্দির। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, প্রথম দিকে এটি ছিল বিষ্ণু মন্দির। প্রাচ্যে বৌদ্ধ ধর্ম ছড়াতে শুরু করলে ক্রমে বিষ্ণুমন্দির বদলে যায় বৌদ্ধমন্দিরে। এই কারণেই ৫০০ একর জমির ওপর তৈরি এই মন্দিরের দেওয়ালে চোখে পড়ে সেই হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মের সংস্কৃতির মেলবন্ধন। এই মন্দিরে সূর্যোদয়ের দৃশ্যে মোহিত হয় মানুষ। গোলাপি, কমলা আর সোনালি রঙের খেলা চলে মন্দির জুড়ে।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্সেডশন তৈরি হয় ২০০১ সালে। ২০০৭ সালে আধুনিক পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য বেছে নেয় তারা। ওই তালিকায় রয়েছে চীনের প্রাচীর, মেক্সিকোর মায়া সভ্যতার সময়ে তৈরি পিরামিড চিচেন ইত্জা, জর্ডনের পেত্রা, ইনকা সভ্যতার শহর পেরুর মাচুপিচু, রিও ডি জেনেইরোর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার, রোমের কলোজিয়াম আর ভারতের তাজমহল।
এবার অষ্টম স্থান পেল কম্বোডিয়ার আঙ্করভাট মন্দির। তবে এর আগেই ইউনেসকোর তরফে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তকমা পেয়েছে আঙ্করভাট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।