রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তিদের দুঃসংবাদ দিল ইইউ

ইউরোপী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন চার বছরের বিতর্ক আর আলোচনা শেষে নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে একমত হয়েছে। মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানবপাচার রোধে এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকলো তারা।

ইউরোপী

রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে নতুন আইনে। যেখানে আছে দশটি ধারা।

প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আর দায়িত্ব ভাগ করে নেবে সদস্য দেশগুলো। এছাড়াও রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরেই যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয় কেন্দ্রও। কোনো সদস্য দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ঢাকার ইইউ প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানান, আগের মত কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। তিনি বলেন, ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবে আর কাকে ফিরতে হবে। প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয়কারীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তবে অবশ্যই যে দেশে ফিরলে জীবনের হুমকি আসে তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ আইন কার্যকর হবে।

নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমার মনে হয় বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্যে দারুণ সুযোগ। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেয়া সহজ হবে।

তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন, কী খাবেন না

তবে, নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থীরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি সরকারও। এর বিপরীতে নীতি নির্ধারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ২০২৩ সালের শুধু ইউক্রেন থেকেই পলিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে প্রায় ১১ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। বছরের গড় হিসেবে যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি।