জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন রাজবাড়ীর বাসিন্দা চন্দ্রিমা চৌধুরী। এরপর ফার্মগেট এলাকায় বড় ভাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন তিনি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন এই চাকরি প্রত্যাশী। ট্রেনে আগুন লাগার আধঘণ্টা আগেও পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়।
তবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে এখন পর্যন্ত চন্দ্রিমার খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। এমনকি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে তার মোবাইল ফোনও। আগুন লাগা বেনাপোল এক্সপ্রেসে ছিলেন চন্দ্রিমা।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের তথ্যকেন্দ্রে আলাপকালে এমনটাই জানান চন্দ্রিমার চাচাতো ভাই অনিন্দ প্রামাণিক।
অনিন্দের ভাষ্য, আমার চাচাতো বোন গতকাল (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজবাড়ী থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসছিল। ট্রেনে থাকা অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়। মাওয়া পার হওয়ার পর, এমনকি ট্রেনে আগুন লাগার আধঘণ্টা আগেও বোনের সঙ্গে পরিবারের কথা হয়। ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। রাত থেকে ঢাকা মেডিকেল, মুগ্ধা মেডিকেল, মিটফোর্ড, আনোয়ারা, ইসলামিয়া, গোপীবাগ সবগুলো হাসপাতালে খোঁজ নিছি; কিন্তু বোনকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি যোগ করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে খোঁজ নিলাম, এখানে (শেখ হাসিনা) নিলাম। মর্গে খুঁজছি। কোনো জায়গায় পাচ্ছি না। রাত থেকে সবগুলো হাসপাতালে এবং সকাল থেকে খুঁজছি। কিন্তু পাচ্ছি না।
এর আগে, ঢাকা-মাওয়া রেলপথে বেনাপোল এক্সপ্রেসে রাত ৯টা ৫ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।