আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেতন চাইতে যাওয়াটাই যেন অপরাধ হয়েছিল কর্মচারীর। মারধর, গালিগালাজ, বাদ গেল না কিছুই। শুধু তাই নয়, বস তথা সংস্থার মালিক তার মুখে জুতা ঢুকিয়ে তা চাটতে বাধ্যও করেন! হেনস্থা এতটাই চরম পর্যায়ে হয়েছে যে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে ওই কর্মীকে।
এমনই অভিযোগ উঠেছে ভারতের গুজরাটের এক সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর বিভূতি পাটেল নামে ওই নারীর খোঁজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাড়ি বা অফিস কোথাও তাকে পাওযা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গুজরাটের মরবি-তে রানিবা ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থার মালিক বিভূতি। গত অক্টোবর মাসে তার সংস্থায় নীলেশ দালসানিয়া নামে এক কর্মীকে নিযুক্ত করেন তিনি। নীলেশের মাসে ১২ হাজার টাকা বেতন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মাসেই তার চুক্তি আচমকা শেষ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাত্র ১৬ দিন কাজ করেছিলেন নীলেশ। ওই কয়েকদিনের বেতন চাইলেও কোনো উত্তর দেয়নি সংস্থাটি।
গত বুধবার ওই বকেয়া টাকা চাইতে ভাই ও এক প্রতিবেশীকে নিয়ে ওই সংস্থার অফিসে যান নীলেশ। এরপরই তাকে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে বিভূতি পাটেলের ভাই ওম পাটেল নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ওই কর্মীকে টেনে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুরু হয় মারধর। লাথি, বেল্ট দিয়ে মার, ঘুষিও মারা হয়। এরপর সামনে আসেন বিভূতি। তিনি নিজের জুতা ওই কর্মীর মুখে গুঁজে দেন। এমনকি ওই এলাকায় যেন আর কখনও না আসেন, এ কথা বলেও হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ বিভূতি পাটেলের বিরুদ্ধে।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশ জানায়, পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন বিভূতি। ওই কর্মীকে বলতে বাধ্য করা হয় যে টাকা নেওয়ার জন্য জোরজুলুম করেছেন তিনি। এরপর ছেড়ে দেওয়া হলে মরবি সিভিল হাসপাতালে যান ওই ব্যক্তি। পরে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।
মরবির ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভূতির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশের তিনটি টিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।