বিনোদন ডেস্ক : অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বলিউড যাত্রা কোনও না কোনওভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকা যায়। আজ যাঁরা স্টার কিংবা সুপারস্টার, তাঁদের এই সফর মনের গভীরে রাখা থাকে চিরকাল। আজ তাঁরা জনপ্রিয়তার চূড়ায় থাকলেও, এই জার্নির শুরুটা একেবারে মসৃণ ছিল না, না ছিল গোটা যাত্রা সুখকর। আজকের স্টারকিডজের এমন দুর্গম যাত্রাপথ পেরোতে হয় না তবে এমন অনেক স্টারপুত্ররাও রয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের শুরুটা বেশ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এবং তাঁরাই আজ ইন্ডাস্ট্রিতে সুপারস্টার হিসেবে স্বীকৃত।
প্রায় চার দশকের কেরিয়ারে, কোনও সুপারস্টারের এমন ফ্যানবেস! বারবার অবাক হতে হয়। এমনই তাঁর জনপ্রিয়তা, যা শাহরুখ খানকেও দিতে পারে জবরদস্ত টেক্কা। তিনি আর কেউ নন, তিনি ‘দাবাং’ সলমন খান (Salman Khan)।
চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের পুত্র সলমন। তবে বাবা বলিউডের নামজাদা লেখক হওয়া সত্বেও সলমনের পেশাগত শুরুর পথ মসৃণ ছিল না। অনেকেই জানেন না যে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে একজন ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন সলমন। তাজ হোটেলে পারফর্ম করেছেন নিয়মিত। প্রথম কনসার্টে কাজ করার পরিবর্তে মাত্র ৭৫ টাকা পারিশ্রমিক তুলে দেওয়া হয় সলমনের হাতে। তারপর ১৯৮৮ সালে, বলিউডে আত্নপ্রকাশ, ছবির নাম ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’। সেই ছবিতেও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে রেখা-ফারুক শেখ অভিনীত ছবি।
ছবি মুক্তির এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে সুযোগ পান সলমন। ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে। সলমন (Salman Khan) ভাগ্যশ্রীর (Bhagyashree) নিষ্পাপ রসায়নে মন মজে ওঠে দর্শকের। ছবির গান থেকে সংলাপ, সবই ফিরতে থাকে মুখে মুখে। ‘দোস্তি কা এক উসুল হ্যায় ম্যাডাম… নো সরি, নো থ্যাঙ্ক ইউ’, এই বিখ্যাত সংলাপ মনে নেই এমন সিনেপ্রেমী খুঁজে পাওয়া কঠিন। ছবি হিট হওয়ার পরও, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সলমনের পারিশ্রমিক ছিল ৩১,০০০ টাকা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে, পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করেন সলমন। বাড়তে থাকে পারিশ্রমিক। ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে থাকেল সল্লু।
এখনও অবধি ১০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন সলমন। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘করণ অর্জুন’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘দাবাং’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘সুলতান’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ তাঁদের মধ্যে সলমন অভিনীত কিছু উল্লেখ্য ছবি। আজ সলমন (Salman Khan) সুপারস্টার ছাড়াও, বলিউডের অন্যতম মুখ। জনপ্রিয়তায় শাহরুখ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তার ভক্ত-ফলোয়ারের সংখ্যাই তার প্রমাণ দেয়। ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসেবে মাত্র ৭৫ টাকা পারিশ্রমিক পাওয়া সেই একুশের ছেলেটির, আজ মোট সম্পদের পরিমাণ ২৯০০ কোটি! যা তাঁকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ধনী বলি স্টার করে তুলেছে।
প্রসঙ্গত, বড় পর্দায় সলমনকে শেষ দেখা গিয়েছিল, ‘টাইগার ৩’-এ। তবে, ‘সিঙ্ঘম এগেইন‘ এবং ‘বেবি জন’-এ ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীতে তাঁকে দেখা যাবে ‘সিকন্দর’ ছবিতে। ২৮ মার্চ মুক্তি পেতে পারে ছবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।