আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশুখাদ্য সংকটে ভুগছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাজারের কোথাও দেখা নেই শিশুখাদ্যের। এ অবস্থায় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিন কাটছে বাবা-মায়েদের। বিশেষত ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের খাবার মিলছেই না বাজারে।
এদিকে, সদ্যজাতদের ক্ষেত্রে মাতৃস্তন্যের বিকল্প হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মায়েরা প্যাকেটজাত বেবি ফর্মুলার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু হঠাৎ করেই বাজারে বেবি ফর্মুলার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাবা-মায়েরা।
এই পরিস্থিতিতে নিরুপায় বাবা-মায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা শহরের এক নারী।
ইদানিং প্রায়ই শোনা যায় স্তনদুগ্ধ দান বা বিক্রির কথা। আলিসা চিটি নামে ওই নারীও বেছে নিয়েছেন সেই পথই। নিজের অতিরিক্ত মাতৃদুগ্ধ তিনি বিক্রি করে দিচ্ছেন সংকটে থাকা এসব বাবা-মায়ের কাছে। বাজারজাত শিশুখাদ্য না পেয়ে অভিভাবকরা ভিড় করছেন আলিসার দরজায়।
ইতোমধ্যেই নাকি ১১৮ লিটার মাতৃদুগ্ধ বিক্রি করে ফেলেছেন আলিসা। যা থেকে উপকৃত হয়েছেন অসংখ্য পরিবার।
মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হয়, শুরু থেকেই আলিসার স্তন্যদুগ্ধের পরিমাণ বেশ বেশি ছিল। তার সন্তান খাওয়ার পরেও বেঁচে যেত সেই দুধের বেশ কিছুটা অংশ। তিনটিরও বেশি ফ্রিজারে সেই দুধ সঞ্চয় করা শুরু করেন তিনি, যা তুলে দিচ্ছেন অসংখ্য সদ্যোজাতের মুখে।
প্রাথমিকভাবে আউন্স প্রতি এক ডলার করে দাম ধার্য করেছিলেন আলিসা। তবে বাজারের ঘাটতি দেখে সেই দাম কমান তিনি। অভিভাবকদের অনুরোধে অনেক ক্ষেত্রে নামমাত্র মূল্যেও মাতৃদুগ্ধ বিক্রি করছেন আলিসা। তার এই ভূমিকায় ভুয়সী প্রশংসা করেছেন মানুষ। তবে একইরকম ভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনাও করেছেন তারা। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকেই বেবি ফর্মুলার উৎপাদন কমছিল মার্কিন বাজারে। তবে সে ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে জো বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে।
বেবি ফর্মুলা সাধারণত মায়ের দুধের অনুকরণে শিশুর খাদ্যোপযোগী করে তৈরি করা হয়। দুধ বা সয়, ভুট্টা বা ব্রাউন রাইস সিরাপ, ভেজিটেবিল অয়েল, প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল এবং শিশুর পুষ্টিতে অনিবার্য কিছু মিনারেলস এবং ভিটামিনের মিশ্রণে তৈরি করা হয় এই বেবি ফর্মুলা। যা শিশুদের বোতল বা কাপে করে খাওয়ানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।