আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয়েরা বয়কটের কারণে বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে মালদ্বীপের! বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্প। শুক্রবার এমনটাই দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ। মালদ্বীপের জনগণের হয়ে ভারতীয়দের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন তিনি।
ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত। তার মধ্যেই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ১০ মে-র পর উর্দিতে বা অসামরিক পোশাকে কোনও ভারতীয় বাহিনী মালদ্বীপে থাকবে না। গত মঙ্গলবার একটি জনসভায় বক্তৃতা করার সময় মুইজ্জু বলেন, ‘‘১০ মে-র পর দেশে কোনও ভারতীয় বাহিনী থাকবে না। উর্দিতেও না, উর্দি ছাড়া অসামরিক পোশাকেও নয়। ভারতীয় বাহিনী এ দেশে কোনও ভাবেই থাকবে না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি।’’ এর পরেই নতুন করে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারতীয়েরা। আর তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাশিদ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নাশিদ বলেন, ‘‘ভারতের বয়কট মালদ্বীপকে অনেক প্রভাবিত করেছে। আমি ভারতে আছি। তবে আমি মালদ্বীপ নিয়ে খুব চিন্তিত। মালদ্বীপের মানুষ ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা দুঃখিত এমনটা ঘটেছে বলে। আমরা চাই যে, ভারতীয়েরা ছুটি কাটাতে মালদ্বীপে আসুন। আমাদের আতিথেয়তায় কোন ত্রুটি থাকবে না।’’
বিবিধ সমস্যা সমাধানে ভারতের দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা স্বীকার করে নাশিদ এ-ও মন্তব্য করেছেন যে, ভারত সব সময়ই চাপ তৈরি করার পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, ‘‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট যখন ভারতীয় সেনাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে, তখন ভারত শক্তি প্রদর্শন করেনি, পেশি প্রদর্শন করেনি। আলোচনা করেছে।’’
সম্প্রতি মালদ্বীপ এবং চিনের মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির সমালোচনাও করেছেন নাশিদ। তাঁর চোখে এটি কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি নয়, অস্ত্র পাওয়ার একটি পদ্ধতি। নাশিদ বলেন, ‘‘আমি মনে করি যে মুইজ্জু সরকার রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাসের মতো কিছু সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনক যে, সরকারের আরও টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেটের প্রয়োজন রয়েছে। বন্দুকের নলের সাহায্যে শাসন করা যায় না।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।