জুমবাংলা ডেস্ক : বিনামূল্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের বীজ বিতরণ করে কৃষকের সর্বনাশ করেছে স্বয়ং বাংংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় সূত্র জানা যায়, চলতি বছরের ১০ নভেম্বর জেলা সদরে ৮০০, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১ হাজার, পাংশায় ১ হাজার, কালুখালীতে ৮০০ ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪০০ কৃষকের মধ্যে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে তাহিরপুরী বীজ ছিল ২৫ শ কেজি, বারী-৪ ছিল ১১ শ কেজি এবং বারী-১ ছিল চার শ কেজি। সেই সঙ্গে কৃষকদের ১০ কেজি করে ডিএপি ও এওপি সার দেওয়া হয়। কৃষকরা যথারীতি বীজ বপন করেন। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও চারা গজায়নি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর রাজবাড়ী জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মাছিদুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিও এর সত্যতা পেয়েছে। মোহাম্মদ মাছিদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পেঁয়াজ বীজ গজায়নি এটি তদন্তে পেয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি কৃষকদের যাতে পুনর্বাসিত করা হয় সে সুপারিশ করা হয়েছে। কীভাবে এর ক্ষতিপূরণ করা যায় সেটি নিয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কালাম বলেন, সরকার থেকে তাদের এক কেজি করে পেঁয়াজ বীজ দিয়েছিল। চার শতাংশ জমিতে বীজ বপন করেছিলেন। এতে খরচ হয়েছিল পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু বীজ থেকে চারা গজায়নি। এ বছর আর জমিতে কোনো ফসল আবাদ করতে পারবেন না। জমি পড়ে থাকবে।
গোয়ালন্দের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, সাধারণত রোপণের এক সপ্তাহের মধ্যে অঙ্কুরোদগম হয়ে থাকে। এ বছর দুই-তিন সপ্তাহ পরও বীজের অঙ্কুরোদগম হয়নি। যারা সরকারি বীজ পেয়েছেন সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন বীজ সংকটের কারণে অনেক জমিতে আর পেঁয়াজ রোপণ করা সম্ভব হবে না বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) হোসেন শহীদ সরোয়ার্দী বলেন, অতীতে কখনও তাদের এ ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে তারা প্রত্যেক কৃষকের পাশে থেকে কাজ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।