জুমবাংলা ডেস্ক : ক্লিনিকের ভুল রিপোর্টে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে নীলফামারীর ডোমারে। পেটে ব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পেয়েছেন ১৩ বছরের এক মাদরাসাছাত্রী।
আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষার পর এমন রিপোর্ট হাতে পেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসা নিতে আসা অবিবাহিত ওই কিশোরী।
সূত্র জানায়, ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয় পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য। ওই ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করে কিশোরীটি গর্ভবতী বলে রিপোর্ট দেয়। আর এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পরিবারের লোকজনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।
তাদের প্রশ্ন, অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এতো ছোট্ট একটি মেয়ে কীভাবে গর্ভবতী হয়? রাতে তারা আরও দু’টি ক্লিনিকে গিয়ে একই পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তাদের মেয়ে গর্ভবর্তী নয়।
খবরটি অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিলে সোমবার (১২ জুন) সারাদিনই উপজেলা পরিষদ মাঠ সংলগ্ন ওই ক্লিনিক অবরোধ করে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর ইসলাম বলেন, ডা. নেহারঞ্জন সাহা আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। আর প্যাথলজি টেকনোলোজিস্ট লক্ষণ রায় ইউরিন পরীক্ষা করে গর্ভবতী হওয়ার রিপোর্ট দেন। হয়তো তারা ভুল রিপোর্ট দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, হাজিরা খাতায় সই হয়ে যায় নীলফামারীর স্কুলে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।