‘যদি কেউ স্বপ্নে নিজেকে হজ পালন, বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ও হজের কিছু বিধান আদায় করতে দেখে- এটি তার উত্তম দ্বীয়ানাতদারি, ধর্মপরায়ণতা ও দ্বীনের ওপর স্থায়ীত্বের প্রমাণ। এ কারণে সে সওয়াব ও নিরাপত্তা লাভ করবে। সে তার ঋণ পরিশোধ ও মুসলিমদের আমানত আদায় করতে পারবে।’-এই কথাগুলোর মাধ্যমেই প্রখ্যাত তাবেঈ ও স্বপ্ন ব্যাখ্যাকার ইবনে সিরীন তার অমর গ্রন্থ ‘তাফসিরুল আহলামে’ স্বপ্নে হজ দেখা বিষয়ের ব্যাখ্যা শুরু করেছেন।
ইবনে সিরীন তার গ্রন্থের চতুর্থদশ অধ্যায়ে হজ, ওমরাহ, কাবাগৃহ, হাজরে আসওয়াদ, মাকাম, জমজম ও কোরবানিসহ হজ সম্পর্কিত আনুষাঙ্গিক বিষয়াবলি স্বপ্নে দেখার ব্যাখ্যা করেছেন। আলজাজিরা থেকে নয়া দিগন্তের পাঠকদের জন্য আজকে তার কিছু অংশ বাংলায় ভাষান্তর করেছেন বেলায়েত হুসাইন।
হজ মৌসুমে হজে যাওয়ার স্বপ্ন দেখা :
১. হজ মৌসুমে কেউ যদি হজে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে- এ অবস্থায় যে সে দূরে কোথাও আটকা পড়ে আছে, তাহলে সে নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারবে।
২. যদি সফরে থাকে, তাহলে ফিরে আসবে।
৩. যদি ব্যবসা করে, তাতে লাভবান হবে।
৪. যদি অসুস্থ হয়, মহান আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করবেন।
৫. যদি ঋণগ্রস্ত হয়, আল্লাহ তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন।
৬. যদি আগে হজ না করে থাকে, তাহলে খুব শিগগির আল্লাহ তায়ালা তাকে হজ পালনের তাওফিক দেবেন।
৭. যদি বিপথগামী হয়, আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করবেন।
৮. যদি কেউ স্বপ্নে দেখে যে, সে হজ অথবা ওমরাহ আদায় করেছেন, তাহলে সে দীর্ঘ হায়াত লাভ করবে এবং তার আমল কবুল হবে।
-এই অধ্যায়ের বাকি ব্যাখ্যাগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।