জুমবাংলা ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে ‘তামাশা’ দেখছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। কমিটির সংগঠক মশিউর রহমানের দাবি, অনিচ্ছার কারণেই আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে পারছে না সরকার।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের জানান, সকল অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে।
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘সরকার সবার সঙ্গে কথা বলে আগামী সপ্তাহে জানাবে, কবে এবং কীভাবে ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি ১৫ জানুয়ারি থাকলেও যেহেতু সবার সঙ্গে কথা হবে, সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ইনফর্মালি অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। ফর্মালি আগামী সপ্তাহ থেকে বসা শুরু করব।’
এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক মশিউর রহমান বলেন, ‘ইচ্ছা করে সরকার এটাকে ডিলে করেছে এবং ছাত্র–জনতার যে ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা তার সাথে সরকার তামাশা করেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এর সাথে বিভিন্ন পক্ষ–বিপক্ষ, দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ জড়িত। এর কারণে সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে ইচ্ছা করেই কালক্ষেপণ করছে।’
গত ২৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে গত সোমবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সরকারই জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে।
প্রেস সচিবের বক্তব্যের পর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ কর্মসূচি স্থগিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর স্থলে একই সময় একই স্থানে ঘোষণা করা হয় মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি থেকে ঘোষণাপত্র দিতে সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় ছাত্র নেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।