জুমবাংলা ডেস্ক : ফগিং অকার্যকর পদ্ধতি হলেও এর পেছনে সিটি করপোরেশনগুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এমন অভিযোগ করেছেন কীটতত্ত্ববিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। আরও বলা হয়েছে, এখন ডেঙ্গু মহামারি চলছে। সরকার বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে মশা দমন করছে না।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেঙ্গু ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে মশা দমন করছে না। ফলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
কীটতত্ত্ববিদরা বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নগরবাসীর জীবন নিয়ে তামাশা করছে। ব্যাঙ, হাঁস বা মাছ ছেড়ে মশা নিধন কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি নয়। সিটি করপোরেশনের তরফ থেকেও অধিকাংশ সময়ই বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি তাদের। অবিলম্বে কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা। ডেঙ্গু ইস্যুতে আয়োজিত এ ব্রিফিংয়ে কীটতত্ত্ববিদদের মধ্যে আলোচনা করেছেন ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী, প্রফেসর ড. জিএম সাইফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশন খামখেয়ালি করছে। তারা কখনও ব্যাঙ দিয়ে মশা মারতে চান, কখনও ফড়িং ছাড়তে চান। কখনও হাঁস ছাড়েন। এই ধরনের তামাশা আমরা লক্ষ্য করে আসছি। আমরা তাদের ব্যক্তিগতভাবে এবং সামষ্টিকভাবে বলেছি যে, আপনারা এসব করবেন না। সায়েন্টিফিক উপায়ে মশা দমন করুন। তারা শোনেন নাই। তারা তামাশা করেন। অথচ প্রতিদিন ১০/২০টি জীবন ঝরে যায়।
তিনি আরও বলেন, এখন ডেঙ্গু মহামারি চলছে। আক্ষরিক অর্থেই ডেঙ্গু মহামারি চলছে। মহামারি দমনের জন্য পৃথিবীর সব দেশেই কয়েকটি সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম নেয়া হয়। ডেঙ্গু নিধনের জন্য পূর্ণবয়স্ক মশা মারার বিকল্প নেই। কিন্তু দেখা গেছে, ফগিংয়ের মাধ্যমে ২০ শতাংশ মশাও মরে না। এটা অনেক দেশেই ব্যবহৃত হয় না। এর জন্য দরকার ইউএলভি প্রযুক্তি বা, আলট্রা লো ভলিউম টেকনোলজি। সেই প্রযুক্তির কথা অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আনা হয়নি। আমি বলবো, এই মহামারি দমনের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ হোক কিংবা বিদেশ, ১০/১৫টি ইউএলভি মেশিন এবং ইউএলভি ফরমুলেশন নিয়া আসা হোক। তাতে প্রতি ২/৩ দিন অন্তর সম্পূর্ণ ঢাকা শহর কাভার করা যাবে।
চিকিৎসা কীটতত্ত্ববিদ প্রফেসর তাহমিনা আক্তার বলেন, সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে অধিকাংশ সময়ই বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হচ্ছে। যারা এই বিষয়ে গবেষণা করছেন তাদের কথা শুনছেন না। কোনটি এডিসের ডিম সেটাই তারা চেনেন না। নোংরা পানিতে এডিস মশা পাওয়া যাচ্ছে বলে যে তথ্য দেয়া হচ্ছে তা ভুল। ময়লা পানিতে বংশবিস্তার করলেও সেটা খুব কম। এডিস মশা দিনে-রাতে সমানভাবে কামড়ায় না। সূর্য ওঠার দুই ঘণ্টা পর থেকে এবং সূর্য ডোবার দুই ঘণ্টা আগ পর্যন্ত কামড় দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।