জরুরি আমদানির জন্য ভারতের কাছে পণ্য তালিকা দেবে সরকার

জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের কাছে পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা দেবে, যাতে করে জরুরি মুহূর্তে এগুলো আমদানি করা সম্ভব হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

পণ্য তালিকা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিতের অংশ হিসেবে সমঝোতা স্মারকে সই করার ওপর গুরুত্বাপরোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতে থাকবে।’

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে আহসানুল ইসলাম টিটু ভারত সরকারকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের (উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা) সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে বাংলাদেশি হস্তশিল্প, ইলেকট্রনিকস, পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং খাদ্যপণ্য প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ জানান।

সেভেন সিস্টার্সে বসবাসরতদের ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভ্রমণ করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বর্ডার হাটগুলোকে আরও সক্রিয় করতে হবে। ওই সময় মৌলভীবাজারে একটি বর্ডার হাট উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে জানালে ভারতীয় হাইকমিশনার যৌথভাবে উদ্বোধন করতে সম্মত হন। এ ছাড়া নতুন করে বর্ডার হাট চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থানগুলো চিহ্নিত করতে একসঙ্গে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে আগামী মাসে দেশটিতে মেগা শোতে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান।

উভয় দেশের পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ভারতে বেস্ট অফ বাংলাদেশ প্রোডাক্ট এবং বাংলাদেশে বেস্ট অফ ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট শো আয়োজনের পরামর্শও দেন প্রণয় ভার্মা।

বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।