জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসী প্রাক্তন স্বামীকে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরও রেহাই দিচ্ছেন না রেশমা বেগম (৩৫) নামের এক নারী। আবুল কাশেম নামের প্রাক্তন স্বামী এই অভিযোগ করে বলেছেন, রেশমা বেগম তাকে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রেশমা বেগম দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা।
প্রাক্তন স্বামী আবুল কাশেম এবং তার পরিবারের অভিযোগ, বারবার প্রেমে জড়ানো ও বিয়ের পর স্বামীর কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি কিংবা বনিবনা না হলে মামলা দেওয়া রেশমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
আবুল কাশেম বলেন, ‘তিনি ছিলেন রেশমার তৃতীয় স্বামী। তার সঙ্গে তালাকের পর তিনি চতুর্থ বিয়ে করেছেন।’
প্রবাসী আবুল কাশেমের অভিযোগ, আগে বিয়ে হওয়ার কথা গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন বরিশালের মুলাদী উপজেলার রেশমা। কাশেম বলেন, ‘রেশমাকে স্ত্রী হিসেবে ওমরাহ করতে সৌদি আরব নিয়ে গেছেন তিনি।’
নিজের অর্থে তার মা-বাবার চিকিৎসা করিয়েছেন। এর পরও রেশমা বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কাশেমের অভিযোগ, প্রবাস থেকে তার পাঠানো টাকা ‘আত্মসাৎ’ করার পর আরো মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন রেশমা। সেই টাকা না দেওয়ায় রেশমা স্বামীর বিরুদ্ধে মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা করেন।
আদালত এসব মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পিবিআই তদন্ত করে দুটি মামলার কোনোটিরই কোনো সত্যতা নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
রেশমার মানবপাচার আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) এসআই মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা করার প্রায় দুই বছর আগে রেশমা ট্যুরিস্ট ভিসায় স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবে যান। পরে দেশে এসে সংসারও করেন। এক পর্যায়ে সম্ভবত পারিবারিক কোনো ঝামেলার কারণে মানবপাচার আইনে মামলা করেন।
আমাদের তদন্তে অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি।’
আবুল কাশেম বলেন, ‘অধিকতর তদন্তে দুই মামলাই মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও রেশমা তার পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি প্রবাস থেকে দেশে ফিরলে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন।’
প্রবাসী কাশেম অভিযোগ করেন, রেশমা তাকে এবং তার পরিবারের অন্যদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোক পরিচয়ে হুমকি দেওয়ানোসহ নানা হয়রানি করছেন। প্রাক্তন স্ত্রীর এই হয়রানি থেকে রেহাই পেতে তিনি ঢাকার ভাটারা, পল্লবী ও পল্টন থানায় তিনটি জিডি করেছেন বিভিন্ন সময়ে।
প্রবাসী কাশেমের বাবা নজির আহমেদ অভিযোগ করেন, রেশমা তাদের সঙ্গে অনেক প্রতারণা করেছেন। তিনি তাদের কাছ থেকে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এখনো নানা রকম হুমকি দিচ্ছেন।
পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কোথায়
এই প্রতিবেদক রেশমা বেগমের সঙ্গে এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। বরং আবুল কাশেমই তাকে নানাভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেছেন। রেশমা বেগম বলেন, ‘তালাক দেওয়ার পর এখন সে আবারও আমাকে নিতে চায়। ফিরে না যাওয়ায় আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আর তালাকের পর আমি আবার বিয়ে করলাম কি না বা কাকে করলাম এগুলো ওদের দেখার বিষয় নয়।’ সূত্র : কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।