Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home সমুদ্রে লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের গুপ্তধন!
    জাতীয়

    সমুদ্রে লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের গুপ্তধন!

    Saiful IslamOctober 20, 20238 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ভূরাজনৈতিকভাবে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বঙ্গোপসাগরে অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে ব্লু ইকোনমি কান্ট্রির এলিট ক্লাবে। এতে সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা অপরিমেয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের সামনে তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অমিত সম্ভাবনা। তবে এ সম্ভাবনার খুব সামান্যই কাজে লাগাতে পারছে বাংলাদেশ। অথচ সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্লু ইকোনমি থেকে প্রাপ্ত সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে বঙ্গোপসাগরই হতে পারে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সব চাহিদা পূরণের উৎস।

    মিয়ানমার ও ভারতের সাথে যথাক্রমে ২০১২ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়। এর মাধ্যমে সমুদ্রে বাংলাদেশ অর্জন করে নিজের মূল ভূখণ্ডের ৮১ শতাংশ পরিমাণ জলসীমা। বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার জলরাশিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার।

    বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ
    ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বে গুরুত্ব পেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগর। এটি বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক করিডোরের অন্যতম প্রধান চ্যানেল। বিশ্বের কনটেইনার পরিবহনের অর্ধেক এবং বিশ্ব বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ সংঘটিত হয় এ সমুদ্র দিয়ে। বাংলাদেশের মোট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ হয় এ সমুদ্রপথে। দেশের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা তেল ও গ্যাসের একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।

    বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ সমুদ্রের নিচে রয়েছে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুত। কিন্তু এখনও এ সমুদ্রসীমায় নিজেদের জরিপ সম্পন্ন করতে পারেনি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে মিয়ানমারের আরাকান উপকূলীয় এলাকায় বড় বড় অনেক গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ অংশেও রয়েছে এর সম্ভাবনা। গবেষকরা বলছেন, সমুদ্রের সুবিশাল জলরাশির ভেতরেই লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতির এক অপার সম্ভাবনা।

    ব্লু ইকোনোমিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
    সমুদ্রসীমা বিজয়ের মাধ্যমে ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে সমুদ্রে প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ দুই ধরনের সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দেশের এ সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ব্লু ইকোনোমি খাতের সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে নটি খাতে সুনির্দিষ্ট করে কাজ চালাচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় দুবছর গবেষণার পর গতবছর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত সমুদ্র এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির বেশকিছু মূল্যবান উদ্ভিজ এবং প্রাণিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়ার কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    পুরো এ গবেষণায় যুক্ত ছিলো যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট ছাড়াও ২২০ প্রজাতির সি-উইড বা শ্যাওলা, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস রয়েছে।

    বঙ্গোপসাগরে গ্যাস হাইড্রেট জ্বালানির উপস্থিতি
    বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ অধিকৃত সমুদ্রসীমায় এবং এর তলদেশে গ্যাস-হাইড্রেট বা মিথেন গ্যাসের একটি জমাট স্তরের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ০.১১ থেকে ০.৬৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট সম্ভাব্য প্রাকৃতিক গ্যাস হাইড্রেট জমার উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা ১৭-১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুতের সমান। এ বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট-এর উপস্থিতি ও মজুতের সম্ভাবনা আগামী শতকে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের সামগ্রিক চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

    খাদ্যের বিশাল উৎস বঙ্গোপসাগর
    জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর ৮ কোটি ৪৪ লাখ টন খাদ্যের যোগান দেয় সমুদ্র। বিশ্বে মানুষের গ্রহণ করা ক্যালরির ২ ভাগ ও প্রোটিনের ১৫ ভাগের যোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সেভ আওয়ার সি’র তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর বঙ্গোপসাগর থেকে ৬০ লাখ টন মাছ ধরা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের জেলেরা ধরতে পারছেন মাত্র ৭ লাখ টন মাছ। বাংলাদেশের জেলেরা সমুদ্র থেকে মূলত বিভিন্ন ধরনের মাছ ও চিংড়িই বেশি ধরে থাকেন।

    কারণ খাবার হিসাবে বাংলাদেশিদের ভেতরে এগুলোর চাহিদাই বেশি। তবে স্থানীয় বাজারে তেমন একটা চাহিদা না থাকলেও অক্টোপাস, কাঁকড়া বা স্কুইডের মতো বিভিন্ন সামুদ্রিক জলজ প্রাণীও প্রচুর পরিমাণ ধরা হয়। বিদেশে প্রচুর চাহিদা থাকায় এসব মাছ রফতানি হয়। বাংলাদেশের সমুদ্র থেকে লাক্ষা, রূপচাঁদা ও কালোচাঁদা, টুনা, ম্যাকারেল, লইটা, চ্যাপা, সামুদ্রিক রিটা, শাপলা পাতা মাছ, তাইল্লা, পোয়া, সুরমা, ইলিশ, ছুরি, ফাইস্যা, সামুদ্রিক বাইন ও কই মিলিয়ে খাদ্য হিসেবে ২শ প্রজাতির মাছ ও চিংড়ি নিয়মিত ধরে থাকেন বাংলাদেশের জেলেরা।

    প্রাণিজ সম্পদের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন সি-উইডও বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। দেশের সমুদ্রসীমায় কিছু প্রজাতির সি উইডে প্রচুর প্রোটিন আছে, যা ফিশ ফিড হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। আবার কিছু প্রজাতি পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতে প্রতিপালিত পশুপাখির খাবার হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। কসমেটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায় এমন সি উইডও অনেক পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায়। মাছের বাইরেও বঙ্গোপসাগরের কিছু উদ্ভিদ এবং শামুক-ঝিনুকের চাহিদা রয়েছে দেশে ও বিদেশে।

    দেশে ব্যবহৃত লবণের মূল উৎস বঙ্গোপসাগর
    বাংলাদেশের জলসীমায় সমুদ্র থাকার বড় একটি সুবিধা হলো, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে লবণ উৎপাদন। উপকূলে সমুদ্রের পানি ধরে, রৌদ্র বা সৌরশক্তি ব্যবহার করে শুকিয়ে অপরিশোধিত লবণ আহরণ করা হয়। বর্তমানে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের এক লাখ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষ করা হয়। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। লবণ উৎপাদনে পৃথিবীর ৯০টি দেশের মধ্যে ২৪তম বাংলাদেশ। তালিকার প্রথম দিকে আছে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, মেক্সিকো ও চিলি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের হিসাবে, দেশে উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন লবণ।

    প্রাকৃতিক গ্যাসসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়ার সম্ভাবনা
    বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে গভীর ও অগভীর সমুদ্রসীমায় মোট ২৬টি ব্লক রয়েছে। সেসব ব্লকে তেল ও গ্যাস রয়েছে কিনা, সেজন্য বাংলাদেশের বাপেক্স ও কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে সমুদ্রের নয় নম্বর ব্লকে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছিল কেয়ার্নস এনার্জি। তবে গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ায় ২০১৩ সালে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তেল-গ্যাস ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে সালফার, মেটালিক মডিউল ও কোবাল্ট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    বঙ্গোপসাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে প্রায় সোয়া তিন লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগে সম্প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি এক্সন মবিল। প্রতিষ্ঠানটি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে। সমুদ্রে প্রায় সাত হাজার মিটার পর্যন্ত গভীরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা আছে এক্সন মবিলের। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানাতে এক্সন মবিল তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলন করেছে। এর মাধ্যমে গায়ানা এখন পৃথিবীর অন্যতম তেলসমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে।

    ব্লু ইকোনোমি ও বাংলাদেশ
    সুনীল অর্থনীতি হলো গভীর সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতি। গভীর সমুদ্রের বিশাল জলরাশি এবং সমুদ্র তলদেশের বিদ্যমান সম্পদ ব্যবহার করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে ব্লু ইকোনোমি। বাংলাদেশের জন্য ব্লু ইকোনোমি হতে পারে অপার সম্ভাবনার খাত। প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল ছাড়াও চুনাপাথর ও মূল্যবান খনিজ বালু; যেমন – জিরকন, রোটাইল, সিলিমানাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গ্যানেট, কায়ানাইট, মোনাজাইট, লিক্লোসিন ইত্যাদি এ রকম ১৭ ধরনের খনিজ বালু রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এ সবের মধ্যে মোনাজাইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া সিমেন্ট বানানোর উপযোগী প্রচুর ক্লে রয়েছে সমুদ্রের তলদেশে।

    সামুদ্রিক অর্থনীতি বিকাশের জন্য বেশ কিছু খাতকে চিহ্নিত করেছে সরকার। যার মধ্যে অন্যতম শিপিং, উপকূলীয় শিপিং, সমুদ্র বন্দর, ফেরীর মাধ্যমে যাত্রী সেবা, অভ্যন্তরীণ জলপথে পরিবহন, খনিজ সম্পদ, সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদ, উপকূলীয় পর্যটন, বিনোদনমূলক জলজ ক্রীড়া, ইয়টিং এবং মেরিনস্, ক্রুজ পর্যটন, উপকূলীয় সুরক্ষা, কৃত্রিম দ্বীপ, সবুজ উপকূলীয় বেল্ট বা ডেল্টা পরিকল্পনা জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ রিসাইক্লিং শিল্প, মৎস্য, সামুদ্রিক জলজ পণ্য, সামুদ্রিক জৈব প্রযুক্তি, তেল ও গ্যাস, সমুদ্রের লবণ উৎপাদন, মহাসাগরের নবায়নযোগ্য শক্তি, মানব সম্পদ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নজরদারি প্রভৃতি।

    ব্লু ইকোনোমির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
    বছরে তিন থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে সমুদ্রকে ঘিরে। বিশ্বের চার শত ত্রিশ কোটি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের যোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু। পৃথিবীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানী তেল সরবরাহ হচ্ছে সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবার যোগান দিতে বিশ্ববাসীকে তাকিয়ে থাকতে হবে সমুদ্রের দিকেই। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে সমুদ্র নির্ভর ব্লু-ইকোনোমির বদৌলতে। ধারণা করা হয় বঙ্গোপসাগরের তলদেশে যে খনিজ সম্পদ রয়েছে তা পৃথিবীর অন্য কোনো সাগর-উপসাগরে নেই। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমুদ্র সম্পদের অবদান মাত্র ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অথবা ৬ শতাংশ।

    সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি বিকাশে সরকার ও ব্লু ইকোনোমি সেলের পরিকল্পনা
    ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়ের পর ২০১৪ সালে স্বল্প, মধ্য ও দীঘমেয়াদী সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা প্রণয়ন করে সরকার। এ কর্মপরিকল্পনা জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজির সাথে সমন্বয় করে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হালনাগাদ করা হয়েছে বলে সময় সংবাদকে জানান, ব্লু ইকোনোমি অনুবিভাগের দায়িত্বে থাকা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর।

    তিনি জানান, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুত নিরূপণ ও মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া দেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন ও ২শ মিটার গভীরতার ঊর্ধ্বে বাণিজ্যিকভাবে টুনা ও বৃহৎ মৎস্য আহরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১১টি লং-লাইনার এবং ৮টি পার্স সেইনার প্রকৃতির মোট ১৯টি ট্রলার কোম্পানিকে ফিশিং লাইসেন্সের অনুমতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান ওশেন টুনা কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভ করেছে বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় সামুদ্রিক মৎস্য নৌযান পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদারকরণ, অবৈধ ফিশিং নিয়ন্ত্রণের পাশাপাীশ উপকূলীয় জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন ও সুন্দরবন অঞ্চলের জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অধীনে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ডাটাবেইজ তৈরি ও মেরিকালচার ও কোস্টাল একুয়াকালচার সম্প্রসারণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    ব্লু ইকোনোমির সুফল পেতে জোর দেয়া হয়েছে দক্ষ মানবশক্তি তৈরিতেও। এরই মধ্যে কয়েক হাজার সারেং, জেলে ও নৌযান মালিককে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ ধরার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে উপকূলীয় উপজেলা মৎস্য দফতরের ৬০ মেরিন ফিশারিজ অফিসারকেও।

    মেরিটাইম গবেষণা খাতেও সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান ড. আবদুছ ছবুর। তিনি জানান, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট-এর আওতায় মেরিকালচার প্রায়োগিক গবেষণা ও পাইলটিং-এর জন্য বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মোট ৩০টি গবেষণা কার্যক্রমের পাইলটিং চলমান রয়েছে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় আছে, গুপ্তধন বাংলাদেশের লুকিয়ে সমুদ্রে
    Related Posts
    উপদেষ্টা

    পশু খাদ্যের জন্যও চালের চাহিদা বাড়ছে : উপদেষ্টা

    August 20, 2025
    নির্বাচন

    পাসপোর্ট না থাকলেও ভোটার হতে পারবেন প্রবাসীরা

    August 20, 2025
    Nirbachon

    ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ ১০ সেপ্টেম্বর

    August 20, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Nalgene Durability Innovations

    Nalgene Durability Innovations:A Leader in Sustainable Hydration Solutions

    Vivo S30 Pro

    Vivo S30 Pro বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Vidya Balan Parineeta audition

    Vidya Balan Parineeta Audition: Exhausted Star Muttered “Gaalis” Before Landing Iconic Role

    denzel washington cancel culture

    Denzel Washington Criticizes Cancel Culture in Recent Remarks

    lego batman dark knight

    Lego Batman: Legacy of the Dark Knight Announced as TT Games Unveils Open-World Gotham Adventure

    asus rog xbox ally

    Asus ROG Xbox Ally Leaks on Amazon Ahead of Gamescom Launch

    Aaron Rodgers Steelers

    Aaron Rodgers Steelers: QB’s Humble Respoanse to “Retirement Home” Jab Wins Praise

    cracker barrel menu

    Cracker Barrel Unveils Bold Fall Menu Redesign Featuring Comfort Classics and a Fresh Brand Look

    Poonawalla Group Sponsorship

    Poonawalla Group Sponsors Karting Prodigy Mohammed Mneimneh in Global Motorsport Push

    DJI Osmo 360 vs Insta360 X5

    DJI Osmo 360 vs Insta360 X5: Real-World Test Reveals Clear Winner

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.