আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাপানের শাসক জোটের নির্বাচনী পরাজয় স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ডলারের বিপরীতে ইয়েন তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। এটি রাজনৈতিক ও আর্থিক নীতির অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। অন্যদিকে, ২০২২ সালের এপ্রিলের পর সবচেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মুদ্রাটি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) মার্কিন ডলার ১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে ১৫৩ ডলার ৮৮ সেন্টে এ পৌঁছেছে। যা ইয়েনের জন্য জুলাই শেষে সবচেয়ে দুর্বল স্তর। ইয়েন বর্তমানে ডলারের বিপরীতে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশে কমে ১শ ৫২ ডলার ৯৬ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবর মাসে ইয়েনের এই পতন ৬ দশমিক ৪ শতাংশে, যা জি-১০ মুদ্রার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
জাপানের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং তাদের সহযোগী কোমেইতো ২১৫টি নিম্ন হাউসের আসন জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। ফলে জোট গঠনে সময় লাগবে। ট্রেডারদের মতে, নির্বাচনের ফলাফল এমন একটি সরকার গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যাদের রাজনৈতিক শক্তি বাড়তে থাকা সুদের হারের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত নয়। এর ফলে আবারো নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
বিএনওয়াইয়ের বিশ্লেষকরা জানান, ডলার ও ইয়েনের জন্য পরবর্তী লক্ষ্য হবে ১৫৫, এবং ১৬০ একটি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করবে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপকে আকৃষ্ট করতে পারে।
কনভেরার এফএক্স কৌশলবিদ জর্জ ভেসি জানান, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ফলে ইয়েনের প্রোফাইল বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন ডলার বিশাল মাসিক বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলছে। মার্কিন অর্থনীতির শক্তির সংকেত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা মার্কিন বন্ডের ফলন বাড়িয়ে দিয়েছে। অক্টোবরে মার্কিন ডলার ইনডেক্স ৩ দশমিক ৬ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়ে ১০৪ দশমিক ৪৬ এ পৌঁছেছে, যা এপ্রিল ২০২২ পরবর্তী সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি।
অন্যদিকে, ইউরো শূন্য ৩ শতাংশে বেড়ে ১.০৮২৪ ডলারে এ পৌঁছেছে, তবে এখনো মাসিক হিসাবে প্রায় ৩% কমে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বৈশ্বিক ভিত্তিতে শুল্ক কার্যকর করে এবং চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, তবে ইউরোর আরো পতন হতে পারে। এর কারণ হবে উচ্চমার্কিন নীতির হার, যা শুল্কের কারণে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ট্রেডাররা শীঘ্রই আরো হার কমানোর আশা করছেন। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে অক্টোবরের মার্কিন কর্মসংস্থান প্রতিবেদন এবং ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনগুলোর দিকে নজর রাখছেন।
এফএক্স কৌশলবিদ জর্জ ভেসি বলেন, ম্যাক্রো ছবির মধ্যে বিভাজনের ফলে কিছু বিনিয়োগকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির ভবিষ্যৎ নীতির পথের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।