সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে নিখোঁজের সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি গৃহবধু রোকেয়া আক্তারের (১৯)। গত শুক্রবার বিকেলে দিকে উপজেলার কলিয়া বাজার থেকে কলিয়া মোড়ে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় রোকেয়া।
এরপর প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও রোকেয়াকে না পেয়ে গত সোমবার দৌলতপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন রোকেয়া আক্তারের মা বাতাসী বেগম।
নিখোঁজ গৃহবধুর স্বজন ও সাধারণ ডায়রি সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে প্রবাসী ফুপাতো ভাই মো: শরিফ মণ্ডলের সাথে বিয়ে হয় রোকেয়া আক্তারের। সবশেষ প্রায় দুই মাস আগে রোকেয়ার স্বামী মো: শরিফ মণ্ডল প্রবাসে যান। তাদের মাঝে পারিবারিক কোন কলহ ছিলনা। এরপর গত শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান ওই গৃহবধু। নিখোঁজের পর থেকে তার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তার পরিবারের লোকজন।
বিষয়টি নিয়ে নিখোঁজ গৃহবধুর মা বাতাসী বেগম জানান, আমার তিন মেয়ের মধ্যে রোকেয়া সবার ছোট। প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হলেও কোন সন্তান হয়নি তার। স্বামীর সাথে তার কোন দ্বন্দও ছিলনা। দুই মাস আগে আমার মেয়ের জামাই বিদেশে গেছে। অন্য কারো সাথে আমার মেয়ের সম্পর্কও ছিলনা। আমার মেয়েকে হারিয়ে আমরা খুবই অসহায় হয়ে গেছি। আপনাদের মাধ্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই আমার মেয়েকে যেন তারা খুঁজে বের করে দেয়। আমার বুকের মানিককে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে. ও. এম. তৌফিক আজম বলেন, নিখোঁজ গৃহবধুর পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রি করার পর একজন উপ-পরিদর্শককে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওই গৃহবধুর মোবাইলের সিডিআর বের করে এবং লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে খোঁজ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো: হাফিজুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই মেয়েটি ইচ্ছাকৃতভাবে কোথাও চলে গেছে। মানিকগঞ্জে থাকাবস্থায়ই তার মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে। আর মোবাইল বন্ধ থাকলে লোকেশন খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তবে সকল থানাকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই তাকে খুঁজে বের করতে পারবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।