স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপের দল সংখ্যা এক লাফে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৮, এত বড় পরিসরের প্রথম আসর এখনও অবশ্য মাঠে গড়ায়নি। এরই মধ্যে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞকে আরও বড় আকার দেওয়ার পরিকল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল কর্তাদের মাথায়। এবার ৬৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়েছে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা কনমেবল।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় যৌথভাবে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৮ দলের প্রথম বিশ্বকাপ। এর চার বছর পর, ২০৩০ সালের আসরেই দল সংখ্যা ৬৪ করতে চায় কনমেবল।
ফুটবল বিশ্বকাপ প্রথম মাঠে গড়িয়েছিল ১৯৩০ সালে। প্রতিযোগিতাটির শতবর্ষ উদযাপনে ২০৩০ আসরের প্রথম তিনটি ম্যাচ মাঠে গড়াবে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে। এরপর টুর্নামেন্টের বাকি অংশ হবে মূল তিন স্বাগতিক স্পেন, মরক্কো ও পর্তুগালে।
৬৪ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে নানারকম গুঞ্জন অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। সেসবের কোনো ভিত্তি যদিও ছিল না। তবে, গত ৬ মার্চ ফিফার এক অনলাইন সভায় ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেন উরুগুয়ের প্রতিনিধি।
সেই ধারাবাহিকতাতেই যেন বৃহস্পতিবার নিজেদের অবস্থান জানালেন কনমেবলের প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দোমিনগেস।
“এর মাধ্যমে সব দেশ এই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ পাবে এবং বিশ্বের কেউ এই আনন্দের মঞ্চের বাইরে থাকবে না। আমাদের মতে, (বিশ্বকাপের) শতবর্ষ উদযাপন অনন্য একটা ব্যাপার, কারণ ১০০ বছরের উপলক্ষ একবারই উদযাপন করা যায়।”
কনমেবলের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বিশ্বকাপের শতবর্ষে ২০৩০ সালের আসরকে তিনি ‘অসাধারণ মাইলফলক’ বলেছেন।
কনমেবলের প্রস্তাবকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হলে, ৬৪ দলের ২০৩০ সালের বিশ্বকাপে মোট ম্যাচ সংখ্যা দাঁড়াবে ১২৮; ১৯৯৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আসরগুলোয় যেখানে ম্যাচ হতো ৬৪টি।
অবশ্য ৬৪ দলের বিশ্বকাপ ভাবনা শুরু থেকেই তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। সমালোচকদের মতে, এক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বের মান অনেক পড়ে যাবে।
উয়েফা সভাপতি আলেকসান্দের চেফেরিন যেমন আগে থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করছেন। মার্চে ফিফার ওই অনলাইন সভায় তিনিও ছিলেন। পরে উয়েফা কংগ্রেসে তিনি বলেন, ওই প্রস্তাবে চমকে গিয়েছিলেন তিনি।
“আপনাদের চেয়ে আমার কাছেই সম্ভবত প্রস্তাবটি ছিল আরও বেশি বিস্ময়ের। আমার মতে, এটি বাজে একটি ভাবনা।”
“এটা অদ্ভুত ব্যাপার যে, ফিফা কাউন্সিলে প্রস্তাবটি ওঠার আগে আমরা এটি নিয়ে কিছুই জানতাম না। জানি না, এই ভাবনা কোত্থেকে উদয় হলো।”
আর্থিকভাবে আরও বেশি লাভবান হতে এবং খেলাটিকে বিশ্বময় আরও ছড়িয়ে দিতে ও উন্নতি করতে ফিফা সভাপতি অবশ্য বরাবরই বৈশ্বিক আসরে দল বাড়ানোর পক্ষপাতি।
তবে, ৪৮ দলের বিশ্বকাপেই খেলার মান অনেকটা পড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সমালোচকদের অনেকে। সেখানে ৬৪ দল ও ১২৮ ম্যাচের বিশ্বকাপে খেলার মান আরও পতনের পাশাপাশি সূচিসহ সবকিছু প্রবল জটিল হবে নিশ্চিতভাবেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।