জুমবাংলা ডেস্ক : ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে কম দামে বিক্রির জন্য আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তুরস্কের আরবেল বাকলিয়াত হাবুবাত সানটিক এএস কামহারিয়েত নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ৮২৫ ডলার হিসেবে এতে মোট ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের বিভাগীয় শহর, সিটি করপোরেশন ও পৌর সভার নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে ডাল আমদানি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টিসিবি। আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে ভারতীয় উৎসের এই ডাল সরবরাহ করবে তুরস্কের প্রতিষ্ঠান আরবেল বাকলিয়াত হাবুবাত সানটিক এএস কামহারিয়েত। প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় এজেন্ট হচ্ছে- ঢাকার হাতিরপুল এলাকার বিআইএনকিউ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ডাল আমদানির জন্য গত ১১ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠিয়েছে টিসিবি। এর আগে ডাল কেনার জন্য গত ২৩ মে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর বিপরীতে পাঁচটি দরপত্র পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী মসুর ডালের নমুনা সরবরাহ না করায় সেটি নন-রেসপন্সিভ হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রাপ্ত অপর চারটি প্রতিষ্ঠানের সব ক’টিরই ডালের উৎস ভারত। তুরস্কের প্রতিষ্ঠান ছাড়া দরপত্রে অংশগ্রহণকারী অপর তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এবং একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড (প্রতি মেট্রিক টন মসুর ডালের প্রস্তাবিত দর ৮৪০ ডলার) ও ইটিসি অ্যাগ্রো প্রসেসিং (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড (প্রতি মেট্রিক টন মসুর ডালের প্রস্তাবিত দর ৮৫১ ডলার) এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড (প্রতি মেট্রিক টন মসুর ডালের প্রস্তাবিত দর ৮৫৭ দশমিক ৩৮ ডলার)।
সূত্র জানায়, সিপিটি বেনাপোল, বাংলা হিলি, দর্শনা, সোনা মসজিদ, ভোমরা বা টেকনাফ পর্যন্ত প্রতি মেট্রিক টন ডালের দর ধরা হয়েছে ৮২৫ ডলার। সে হিসাবে এতে মোট ব্যয় হবে ৬৬ লাখ ডলার। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত দর অনুযায়ী প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ৮৯ টাকা ৯৩ পয়সা।
মসুর ডাল কেনা থেকে টিসিবির গুদাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পিএসআই ফি, ভ্যাট, মার্জিন ইন্স্যুরেন্স, বন্দর চার্জ, ডিপো চার্জ, শিপিং এজেন্ট চার্জ, পোস্ট-ল্যান্ডিং চার্জ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কমিশন ও কাস্টম ডিউটি, ক্যারিং, আন-লোডিং ও লোডিং চার্জসহ প্রতি কেজি ডালের দাম দাঁড়াবে ৯৪ টাকা ৯৮ পয়সা। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে টিসিবির মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে দুই লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। এর অংশ হিসাবে এই ডাল কেনা হচ্ছে। আমদানিতব্য এই ডাল টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।