জুমবাংলা ডেস্ক : মরুভূমির ফসল হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের বিখ্যাত আজোয়া জাতের খেজুর চাষের কথা কজন শুনেছি বা দেখেছি? যারা এই খেজুর বাগান দেখতে চান, তাদের বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল আমড়া গোহাইল গ্রামের আলহাজ্ব আবু হানিফার বাগানে আসতে হবে। সেই অসাধ্যকে সাধন করে সৌদির আজোয়া জাতের খেজুর চাষ করে সফলতা পেতে শুরু করেছেন তিনি।
নিজ বাড়ির সাথে পতিত ৯ শতক জায়গায় সারিবদ্ধভাবে লাগানো ১৩টি সৌদির আজোয়া খেজুরগাছ তাকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। গত বছর একটি গাছে অল্প কিছু খেজুর পেলেও এবার দুটি গাছে বেশ খেজুর ধরেছে।
শুধু তা-ই না, খেজুরবাগানের পাশাপাশি তিনি গত বছরের সংগ্রহ করা বীজ থেকে চারাও তৈরি করছেন। আবু হানিফার বাগানে এ খেজুর দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন।
খেজুরচাষি আলহাজ্ব আবু হানিফা জানান, হজ্জ করতে গিয়ে সৌদিতে অনেক খেজুরবাগান ঘুরে দেখেন আবু হানিফা। এসময় তার খেজুর চাষের ইচ্ছে জাগে।
পরে আজোয়া জাতের খেজুরের ১৬টি বীজ সংগ্রহ করেন। সেই বীজ ২০২০ সালে মাটিতে রোপণ করে। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে গাছগুলো। সেই গাছগুলোর মধ্যে একটিতে গত বছর অল্প কিছু খেজুর ধরেছিল।
এবার দুটি গাছে ভালো খেজুর ধরেছে। ২০-২৫ দিনের মধ্যে খেজুরগুলো পরিপূর্ণভাবে পেকে যাবে। পরের বছর হয়তো আরো কিছু গাছে খেজুর আসবে। নিজের বাগান বৃদ্ধি ও চারা বিক্রি জন্য আজোয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করেছেন তিনি।
এবার সন্তানের বাবাকে সামনে আনলেন ইলিয়ানা, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আদনান বাবু জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলায় এই প্রথম আলহাজ্ব আবু হানিফা সৌদির আজোয়া খেজুর চাষ করছেন। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবু হানিফা এখন খেজুরগাছের চারাও উৎপাদন করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।