জুমবাংলা ডেস্ক : বছর দুই আগেও মাছ কাটার পর ফেলে দেওয়া হতো আঁশ। তবে সেই আঁশ এখন বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য বয়ে আনছে বৈদেশিক মুদ্রা। এছাড়া মাছের আঁশ ছাড়ানো বা মাছ কাটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। যশোর অঞ্চল থেকে মাছের ফেলনা এই অংশ বিদেশে রপ্তানি করে বিগত অর্থবছরে ত্রিশ লক্ষাধিক ডলার আয় হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসসহ বিভিন্ন ব্যসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীই এখন মাছের আঁশ ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাজার থেকে আঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ায়। যশোর শহরের বড়বাজার, রেল বাজার, চুয়াডাঙ্গা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা মাছের আঁশ ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে লিপস্টিক, প্রসাধনী সামগ্রী, ক্যাপসুলের আবরণ বা ক্যাপসহ বিভিন্ন পণ্য।
এদিকে যারা বিভিন্ন বাজারে মাছ কাটেন তারাও এই মাছের আঁশ জমিয়ে রাখেন। পরবর্তী সময়ে তা বিক্রি করেন ব্যাপারীদের কাছে। এরপর সেই আঁশগুলোকে ব্যাপারীরা ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ঝর ঝরে করেন। এভাবে বিক্রি করা হয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২২-২৩ অর্থবছরে যশোর অঞ্চল থেকে আঁশ রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ২৬৩ মেট্রিকটন।
যা থেকে আয় হয়েছে ৩০ লাখ ৩১ হাজার ১৫০ ডলার। মাছ কাটা পেশায় জড়িত অনেকে জানিয়েছেন এ পেশায় তাদের সাবলম্বী হওয়ার গল্প। শহরতলীর ঘোপ বাবলাতলা মাছ বাজারে মাছ কাটেন আব্দুল হায়দার।
তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজি আঁশ হয়। এগুলো বিক্রি করে মাসে ৭-৮ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এর আগে মাছের আঁশগুলোকে ফেলে দিতাম। বড় বাজারে আল-আমিন নামে আরেক মাছ কাটা ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন মণ খানেক মাছ কাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।