জুমবাংলা ডেস্ক : এপ্রিল ও মে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির মাস। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো সেখানে এক বা একাধিক ঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সোমবারের পর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা নিম্নচাপে রূপ নেয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও দেশজুড়ে চলমান তাপদাহ আপাতত পুরোপুরি কমবে না।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, দাবদাহের পর আগামী ২০ মে বা তার পরে সাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। যা নিম্নচাপেও রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সংস্থাটি বলছে, বঙ্গোপসাগর তো বটেই, চলতি মাসে আরব সাগরেও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কারণ নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে শর্তগুলো রয়েছে, তার মধ্যে প্রায় সব শর্তই বিরাজমান রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কার্যক্রম তৈরি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই, যা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। সংস্থাটি বলছে— আগামী ২৩ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ২৪ মের পরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, যা এগিয়ে যেতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে।
আবহাওয়া অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা চলতি মাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন শক্তি সঞ্চার করছে। আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, এখন পর্যন্ত এটার মুভমেন্টটা ভারতের উড়িষ্যার দিকে। তৈরি না হওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা, তবে ২৭ তারিখের দিকে উপকূলে আসতে পারে।
এদিকে আজ রবিবার সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির দেখাও মিলেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশালসহ বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এপ্রিলের পরে নতুন করে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় হিট এলার্টও জারি করে আবহাওয়া অফিস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।