আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের নানা প্রান্তে সোনার হরেক রকম দর চালু আছে। দেশে যাতে সোনার একটিমাত্র দরকে গ্রহণ করা হয় ও ক্রেতাদের তা জানানো হয়, তার উদ্যোগ শুরু করলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, এতে স্বর্ণ শিল্প ব্যবসায় যেমন সামঞ্জস্য আসবে, সোনার দর নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা কমবে, তেমনই ক্রেতারাও উপকৃত হবেন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ভারতের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এই সংক্রান্ত একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আগামী দিনেও এই ধরনের বেশকিছু আলোচনা পর্ব চলার পর ঐক্যমত্যে আসা যাবে বলে মনে করছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
এদেশে যে সোনা আমদানি করা হয়, তা প্রথম আসে গুজরাতে। সেখান থেকেই দেশের নানা প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। সোনার পরিবহণ খরচ, সুরক্ষাজনিত খরচ, বিমা প্রভৃতি নানা কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দামের তফাত হয়ে থাকে। স্বর্ণশিল্প সংগঠনগুলিও নিজেদের মতো করে হিসেব কষে দাম ঘোষণা করে।
এদিন স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর দে বলেন, দেশে অভিন্ন সোনার দাম স্থির করার ব্যাপারে মূল উদ্যোগ নিয়েছে অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিল। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সোনার দর ঘোষণা করি। অন্যদিকে, বুলিয়ান মার্চেন্টদের তরফেও একটি রেট ঘোষণা করা হয়। দুটি রেটে কিছুটা হলেও তফাত থেকে যায়। এক্ষেত্রে রেট যাতে একই হয়, এই ব্যাপারে ঐক্যমতে আসা গিয়েছে। আগস্ট থেকে আমরা সোনার একটাই দর ঘোষণা করব।
পূর্ব ভারত জুড়েই এই উদ্যোগ চালু করতে চলেছি আমরা। আজকের বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমরবাবুর কথায়, কয়েকটি কর্পোরেট জুয়েলার নিজেদের মতো সোনার রেট ঘোষণা করে। তাদের সঙ্গে বৈঠক করেও একটি সদর্থক সিদ্ধান্তে আসা যাবে বলে মনে করছি আমরা। তাছাড়া নয়া সিদ্ধান্তটি দেশজুড়ে কার্যকর করার আগে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনা করার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।