সাইফুল ইসমলাম, মানিকগঞ্জ : দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলা মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে জেলায় তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। ফলে পুরোদমে জেঁকে বসেছে শীত। দিনভর কনকনে শীতের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
জেলা আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মানিকগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দুপুর ১টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।
তবে সরেজমিনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশা এবং দিনভর উত্তরদিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও আগুন ধরিয়ে হাত-পা ও শরীর গরম করার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষ। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো। ভোরে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া, শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
রিকশাচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, গত দুইদিন ধরে ঠাণ্ডা অনেকটাই বেড়েছে। বাতাসের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না। রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। ফলে ঠিকমত রোজগারও হচ্ছেনা। তবুও পেটের তাগিদে শীতের মধ্যে আমাদের প্রতিদিন কাজে বের হতে হয়।
ভ্যানচালক শ্যামল রাজবংশী বলেন, ঠাণ্ডায় অনেকেই বাড়ি থেকে না বের হাওয়ায় লোকজন তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যে হারে ঠাণ্ডা বাড়তেছে তাতে সবার চলাচল করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের হকার আবু মূসা বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে বেচা-বিক্রিও কমে গেছে। এতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে, মানিকগঞ্জের আরিচায় অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মানিকগঞ্জেরে আরিচায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
অপরদিকে, মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আল্পনা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।