Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home তথ্য চেয়ে আবেদন করার জেরে সাংবাদিককে কারাদণ্ড
বিভাগীয় সংবাদ ময়মনসিংহ

তথ্য চেয়ে আবেদন করার জেরে সাংবাদিককে কারাদণ্ড

Saiful IslamMarch 11, 20245 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য চেয়ে আবেদন করার জেরে এক সাংবাদিককে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের বিরুদ্ধে। কারাগারে আটক ওই সাংবাদিকের নাম শফিউজ্জামান রানা। তিনি দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার নকলা উপজেলা প্রতিনিধি।

বিষয়টিকে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এমন ঘটনায় ব্যক্তিস্বার্থে আইন-আদালত ব্যবহার হয়েছে। যদিও ইউএনও এমন দাবি অস্বীকার করছেন।

এদিকে সাংবাদিক নেতারা অবিলম্বে এই সাংবাদিক দেওয়ার না হলে আন্দোলন নামার কথা জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করার কথা জানিয়েছে তথ্য কমিশন।

সাংবাদিকের স্ত্রী বন্যা আক্তার বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার তিনি (শফিউজ্জামান রানা) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে তথ্য সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন। আগেই তিনি এজন্য তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। আমার কাছে ওই আবেদনের একটি কপি আছে। তাতে তিনি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কেনাসহ আরো কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। ওই দিন দুপুরে ওই তথ্য পাওয় না পাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ইউএনও মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেন।’’

বন্যা আক্তার বলেন, ‘‘আমি তার এখনো জামিনের ব্যবস্থা করাতে পারিনি। কারাগারে গিয়ে দেখা করেছি। তিনি কারাগারে থাকলে আমার দুই সন্তান নিয়ে বিপদে পড়ে যাব। তিনি ছাড়া আমাদের পরিবারে উপার্জন করার আর কেউ নেই। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। আমি তার মুক্তি চাই।’’

তবে ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন দাবি করেন, ‘‘তথ্য চাওয়ার কারণে নয়, তিনি আমার সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিলা আক্তারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তিনি নিজেই তার রুমে ঢুকে ফাইলপত্র ধরেন। আমি তখন পাশের রুমে একটি মিটিংয়ে ছিলাম। বাইরে প্রচণ্ড হট্টগোল হচ্ছিল। কয়েকজন রানা সাহেবকে থামানোর চেষ্টা করেন। আমি বের হয়ে দেখি তাকে কোনোভাবে থামানো যাচ্ছিল না। সে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিলো। তখন আমি আমার এসি ল্যান্ডকে ডাকি। সে এসেও থামাতে পারেনি। তারপর আমার গোপন সহকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। অফিস চালানোর জন্য এছাড়া আমার উপায় ছিলো না। তিনি চলে গেলে তাকে শাস্তি দেয়া হতো না।’’

তবে তিনি স্বীকার করেন, ওই সাংবাদিক তথ্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। ইউএনও বলেন, ‘‘তিনি (শফিউজ্জামান রানা) এডিপি ও জাইকা প্রকল্পের তথ্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আমি এখানে এসেছি ছয় মাস হলো। ওই ধরনের প্রকল্পের সঙ্গে আমি এখনো কাজ করিনি। আর আগের তথ্য আমার কাছে নাই। ওটা জাইকার কাছে থাকে।’’

ইউএনও যেই এসি ল্যান্ডকে ডেকে আনেন তার নাম মো. শিহাবুল আরিফ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে তিনিই তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তাকে সাংবাদিক হিসাবে নয়, ব্যক্তি হিসাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ইউএনও স্যারের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট কাজ করেছে। তথ্য চাওয়ার বিষয় তখন আমি জানতাম না। তথ্য চাওয়ার বিষয়টি পরে আমি পত্রিকায় দেখেছি। এ ব্যাপারে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বললে ভালো হবে।’’

জানা গেছে, ওই দিন ঘটনার সময় সেখানে সাংবাদিক রানার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে শাহরিয়ার জামান মাহিনও ছিলো।

মাহিন জানায়, ‘‘আমার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আব্বুর সঙ্গে বের হয়েছিলাম। দুপুর ১২টার দিকে বাবা ইউএনও ম্যামের কাছে তথ্যের আবেদন নিয়ে যান। তখন তিনি মিটিংয়ে ছিলেন তাই শীলা ম্যামের কাছে পাঠান। আব্বু রিসিভড কপি চাচ্ছিলেন। তখন তিনি ফি চান। এটা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউএনও ম্যাম বের হয়ে গালাগাল করেন। আমাকেও বলেন, তুমি কি তোমার বাবার মত চোর সাংবাদিক হবে? এরপর মোবাইল কোর্ট বসিয়ে শাস্তি দেন। প্রথমে একটি এবং পরে আরেকটি মামলা দেয়া হয়। মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আব্বু দেননি।’’

সাংবাদিক রানার স্ত্রী বন্যা আক্তার বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল কোর্টে শাস্তি দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি যেসব তথ্য চেয়েছিলেন তা প্রকাশ হলে অনেকের দুর্নীতির খবর ফাঁস হতো। অনেক সাংবাদিক তা চেপে গেলেও আমরা স্বামী সব সময় তা প্রকাশ করেন।”

আর নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘আমরা বিব্রত। তাকে মোবাইল কোর্টে শাস্তি দেয়াও যেমন ঠিক হয়নি। আবার সাংবাদিক যে আচরণ করেছে তাও ঠিক হয়নি।’’

সাংবদিক দমনে মোবাইল কোর্ট?

সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু বলেন, ‘‘এখানে মেবাইল কোর্টকে ব্যক্তিগত আক্রোশ চরিতার্থ করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা বেআইনি এবং অন্যায়। আদালতকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার এটা একটা নজির। যারা এটা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ওই সাংবাদিক কোনো অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করা যেত।’ তার কথা, ‘‘এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি।’’

আর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘‘এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ইউএনও এবং ডিসিরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ব্যবহার করে শাস্তি দিয়েছেন। দেশে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। সাংবাদিকদের তথ্য দিলে দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে যাবে তাই তারা তথ্য দিতে চান না। উল্টো মামলা দিয়ে, শাস্তি দিয়ে হয়রানি করেন।’’

মোবাইল কোর্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘এভাবে ব্যক্তিস্বার্থে আইন আদালত ব্যবহার হলে দেশে তো আর আইনের শাসন বলে কিছু থাকবে না।’’

তবে ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দাবি করেছেন, তারা ব্যক্তি আক্রোশের কারণে মেবাইল কোর্ট ব্যবহার করেননি। আইনে তারা পারেন বলেই ব্যবহার করেছেন।

আন্দোলনের হুমকি সাংবাদিক নেতার

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘‘সাংবাদিক রানাকে মেবাইল কোর্টে শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠানো অন্যায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং মুক্তি দাবি করছি। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হলে যারা এই অন্যায় করেছেন তাদের বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামব।’’

তার কথা, ‘‘আমলাতন্ত্রের অপরাধ, অপকর্ম সাংবাদিকরা প্রকাশ করে দেয়। তাই তাদের ওপর আমলাতন্ত্রের আক্রোশ। তারা নানাভাবে সাংবাদিকদের হয়রানি করে। মিথ্যা মামলা দেয়। এটা করে তারা সরকারের ভাবমুর্তি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে।’’

প্রসঙ্গত এর আগে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তখনকার ডিসি সুলতানা পারভীন তাকে দণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়েছিলেন। সুলতানা পারভীন জেলা প্রশাসনের একটি পুকুর সংস্কার করে তার নাম নিজের নামে ‘সুলতানা সরোবর’ রেখেছিলেন। ওই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদক আরিফুল ইসলামকে মাদক রাখার অভিযোগে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সূত্র : ডয়চে ভেলে

(ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন হারুন উর রশীদ স্বপন)

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আবেদন করার কারাদণ্ড চেয়ে জেরে তথ্য বিভাগীয় ময়মনসিংহ সংবাদ সাংবাদিককে
Related Posts
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন

চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত

December 17, 2025
Manikganj BADC

বদলির পরও অফিস কক্ষে তালা: মানিকগঞ্জ বিএডিসি কার্যালয়ে অচলাবস্থা

December 17, 2025
Pabna

জমি নিয়ে বিরোধ, বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

December 17, 2025
Latest News
সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন

চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত

Manikganj BADC

বদলির পরও অফিস কক্ষে তালা: মানিকগঞ্জ বিএডিসি কার্যালয়ে অচলাবস্থা

Pabna

জমি নিয়ে বিরোধ, বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

ওসি ও এএসআইয়ের

সড়কে প্রাণ গেল ওসি ও এএসআইয়ের

রাতে প্রেমিক

রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধাওয়া খেয়ে পুকুরে, তারপর যা ঘটলো

আবাসিক হোটেল

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, নারীসহ ধরা ৬

জহুরা বেগম

মৃত্যুর আগে ‘বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি’ চান জহুরা বেগম

বিজয় দিবসে প্রাণ গেল ওসি

বিজয় দিবসে প্রাণ গেল ওসিসহ ২ পুলিশ কর্মকর্তার

Mira

৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী, পরিবারে উদ্বেগ

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.