আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে কাল্পনিক সিনেমা বলে অভিহিত করে জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্সের সভাপতি সাজ্জাদ লোন বলেন যে সিনেমাটির নির্মাতারা দেশকে ঘৃণার মধ্যে ডুবিয়ে দেবে। তিনি আরও দাবি করেন যে কাশ্মীরি মুসলমানরা পণ্ডিতদের তুলনায় ৫০ গুণ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতি অবিচার করা বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কাশ্মীরি মুসলমানরা পণ্ডিতদের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আপনি শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের বেদনাকে নথিভুক্ত করতে পারবেন না। আমরা সবাই এতে একসাথে আছি। আমি আমার নিজের বাবাকে হারিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন যে ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীরি মুসলমানরা পণ্ডিতদের মতো অসহায় ছিল।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রত্যেকেই হয়রানির সম্মুখীন হয়েছে, যদিও তারা (চলচ্চিত্র নির্মাতারা) অতিরঞ্জিত করেছে। তারা জানে না যে পণ্ডিতরা এখনও আমাদের সাথে বসবাস করছেন। তারা কী তাদের কথা ভেবেছেন? তারা আমাদের ভাই। এবং আমরা তাদের ভালোবাসি কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মতো অসহায় ছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাকে (বিবেক অগ্নিহোত্রী, পরিচালক) রাজ্যসভার সাংসদ করার জন্য আবেদন করছি। এখন একটি নতুন ট্রেন্ড আছে যে বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং অনুপম খেরের মতো লোকেরা রাজ্যসভায় যেতে মরিয়া। তাদের রাজ্যসভায় পাঠানো উচিত, অন্যথায় তারা এই দেশকে বিদ্বেষে ডুবিয়ে দেবে।’
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি ১৯৯০-এর দশকে উপত্যকা থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে অত্যাচারের বিষয়ে আলোকপাত করেছে। গত ১১ মার্চ এটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ছবিটি তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি ও বিরোধী দলগুলোর নেতাদের সমালোচনা ও মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।