বিনোদন ডেস্ক : সময় ভাল যাচ্ছে না বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের। সম্প্রতি অজয় দেবগণ এবং শাহরুখ খানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের মুখ হন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। আর তার পরই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
পাশাপাশি অক্ষয়ের ‘বচ্চন পাণ্ডে’ সিনেমাটি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমাতে অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু বক্স অফিসে এই সিনেমা ডাহা ফেল করে। দর্শকদের মনে জায়গা না পেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে এই সিনেমা।
এখন আবার অক্ষয়কে এক হাত নিলেন বহুচর্চিত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। অক্ষয়কে সরাসরি দু’মুখো বলে কটাক্ষ করেন বিবেক। অক্ষয় এবং বিবেক দু’জনেই পদ্ম শিবিরের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। তবুও কেন অক্ষয়ের দিকে কাদা ছুড়লেন বিবেক?
কিছু দিন আগেই ভোপালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন অক্ষয়। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বিবেকের ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ তাঁর কেমন লেগেছে। উত্তরে অক্ষয় জানান, সিনেমাটি তাঁর খুবই ভাল লেগেছে। এই সিনেমা এতটাই ভাল হয়েছে যে, একই সময়ে মুক্তি পাওয়া তাঁর অভিনীত ‘বচ্চন পাণ্ডে’ বক্স অফিসে ডুবে গিয়েছে।
এই সিনেমার প্রশংসা করা সত্ত্বেও অক্ষয়কে কড়া কথা শোনাতে ছাড়েননি বিবেক। তাঁকে অন্য এক অনুষ্ঠানে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ নিয়ে অক্ষয়ের প্রশংসা তাঁর কেমন লেগেছে। জবাবে বিবেক বলেন, অক্ষয় এই মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন। অক্ষয়ের জায়গায় অন্য কোনও অভিনেতাকে এই প্রশ্ন করা হলে একই জবাব মিলত।
বিবেক আরও মন্তব্য করেন, ভোপালে শতাধিক দর্শকের সামনে অক্ষয়কে এই প্রশ্ন করা হয়েছে। তাই যে কেউই সেখানে উপস্থিত থাকলে তিনিও পিঠ বাঁচিয়ে এই ধরনের উত্তরই দিতেন। বিবেকের দাবি, বলি পাড়ায় কেউ মুখের উপর প্রশংসা করেন না। শুধু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দর্শকদের তালি এবং সাবাসি কুড়োতেই এই ধরনের প্রশংসা করা হয়।
অক্ষয়ের এই সব কথাকে ‘মিথ্যে প্রশংসা’ বলেও কটাক্ষ করেন বিবেক। সম্প্রতি তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে নেটমাধ্যমে রোষের মুখে পড়তে হয় অক্ষয়কে। অক্ষয় বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য চর্চার বিষয়ে বিভিন্ন ‘জ্ঞান’ দিয়ে থাকেন। তাই তাঁকে এই বিজ্ঞাপনের পর ‘ভণ্ড’ তকমাও দেন অনেকে। তবে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে জনসমক্ষে ক্ষমা চান অক্ষয়। সত্যিই সময় বড় খারাপ যাচ্ছে অক্ষয়ের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।