অন্যরকম খবর ডেস্ক : ২০১০ সালে রক্ষণশীলদের জোট সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে অবসান হয়েছিল লেবার পার্টির শাসনামল। গর্ডন ব্রাউনকে বিদায় জানিয়েছিল ১০ নং ড্রাউনিং স্ট্রিট। সেখানে প্রবেশ ঘটেছিল রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের। এর এক বছরের মাথায় সেখানকার বাসিন্দা হয় ল্যারি নামের এক বিড়াল। এর মধ্যে আরও চারজন রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী-থেরেসা মে, বরিস জনসন, লিজ ট্রাস, ঋষি সুনাক ১০ নং ড্রাউনিং স্ট্রিট ছেড়েছেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেখানে প্রবেশ ঘটেছে স্টারমারের। তবে বহাল তবিয়তে থেকে গেছে ল্যারি! খবর রয়টার্স, ক্যানবেরা টাইমস ও এনডিটিভির।
ল্যারি ব্যাটারসি ডগস অ্যান্ড ক্যাটস হোম থেকে উদ্ধার করা একটি বাদামি-সাদা ট্যাবি বিড়াল। ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া বিড়ালটিকে ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠে ল্যারি। তারপর থেকে একের পর এক ডামাডোল হয়েছে ব্রিটিশ রাজনীতিতে। ব্রেক্সিট থেকে শুরু করে করোনা মহামারিতে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য। একের পর এক প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, বিদায় জানিয়েছেন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটকে। কিন্তু ল্যারি থেকে গেছে। মন্ত্রিপরিষদ অফিসে ‘চিফ মাউসার’ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে সে।
হাজারো দায়িত্বের গুরুভার রয়েছে এই ছোট্ট চতুষ্পদ প্রাণীর ওপর। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ইঁদুর বাহিনীকে দূর করার দায়িত্ব তো রয়েছেই। একইসঙ্গে রয়েছে দেশ-বিদেশের হেভিওয়েট অতিথিদের আপ্যায়ন। তা ছাড়া নিয়মিত ফটোগ্রাফারদের জন্য গম্ভীর মুখে ফটোজেনিক পোজও দেয় ল্যারি।
গত ১৪ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে যুক্তরাজ্য। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় নেন ঋষি সুনাক। অর্থাৎ নিজের কার্যকালে কমপক্ষে মোট ছয়জন প্রধানমন্ত্রীকে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে দেখছে বিখ্যাত এই বিড়াল। ডুবে যাওয়া অর্থনীতি, দেশের প্রশাসনের অস্থিরতার মধ্যে ল্যারি যেন ধ্রুবতারার মতো স্থির। হাফ ডজন প্রধানমন্ত্রী পেরিয়েও নিজের দায়িত্ব পালনে অবিচল এই ছোট্ট প্রাণীটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।