আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মসজিদগুলোর একটি হলো তাজ-উল-মসজিদ। যা ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভূপালে অবস্থিত। যদিও অনেকে মনে করেন, দিল্লির জামে মসজিদই ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাজ-উল-মসজিদই ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ।
মোগল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের রাজত্বকালে ভূপালের নবাব সৈয়দ সিদ্দিক হাসান খানের স্ত্রী এই মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। তার কন্যা সুলতানা জাহান বেগম নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন। তবে তার জীবদ্দশায় তহবিলের অভাবে মসজিদটি সম্পন্ন হয়নি। ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের পর নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। অতঃপর ১৯৭১ সালে ভূপালের আলেম আল্লামা মুহাম্মদ ইমরান খান নদভি আজহারি এবং মাওলানা সাইয়েদ হাশমত আলি মসজিদটির নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। কুয়েতের আমির তার প্রয়াত স্ত্রীর স্মরণে মসজিদের পূর্ব দিকের ফটকটি সংস্কারের জন্য অর্থায়ন করেন।
দিল্লির জামে মসজিদ এবং লাহোরের বাদশাহি মসজিদের মতো এই মসজিদে গোলাপি রঙের মার্বেল পাথরের তিনটি গম্বুজসহ দুটি ১৮তলা উঁচু অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। মূল হলওয়েতে মুগল স্থাপত্যের মতো আকর্ষণীয় স্তম্ভ এবং মেঝেতে চিত্তাকর্ষক মার্বেল রয়েছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি বিশাল পানির ট্যাঙ্ক রয়েছে। মসজিদটির একটি দ্বিতল ফটক রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরীণ আয়তন ২৩০০০ হাজার বর্গমিটার। এতে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।
১৯৪৯ সাল থেকে ভূপালে প্রতি বছর বার্ষিক ইসলামি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম দিকে ভূপালের পুরাতন প্রাচীরযুক্ত শহরের মসজিদ শাকুর খানে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতো। এক সময় ইজতেমার পরিধি বেড়ে গেলে তা তাজ-উল-মসজিদে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বেশ কয়েক বছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর প্রচুর জমায়েতের কারণে অনুষ্ঠানস্থল সেখান থেকে ঘাসিপুরে স্থানান্তর করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।