জুমবাংলা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন প্রার্থীরা।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পাবে। আর জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন।
এ ছাড়া ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র দাখিলের বিরুদ্ধে আপিল ২২ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১৪ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আইন অনুযায়ী, সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের ভোটার হন। আর সংসদ নির্বাচনে জয়ী দলগুলোর আসনসংখ্যার অনুপাতে মহিলা আসন বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে ছয়টি সাধারণ আসনের জন্য একটি সংরক্ষিত মহিলা আসন পাওয়া যায়। আর যেহেতু দলগুলো থেকে এসব আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাই সংরক্ষিত মহিলা আসনে সাধারণত ভোটের প্রয়োজন হয় না।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। তবে এরই মধ্যে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এ দিকে প্রার্থীদের ঋণখেলাপের তথ্য দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দিয়েছে ইসি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির উপসচিব এম মাজহারুল ইসলাম।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৪ মার্চ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইতিমধ্যেই নির্বাচনী সময়সূচি জারি করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এতে ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময়সীমার পূর্বে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চম মেয়াদে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।