বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ অ্যাপলের (Apple) আইফোন (iPhone) ব্যবহার করেন। অ্যাপলের কোনও প্রোডাক্ট লঞ্চ হলেই বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়। অ্যাপল-প্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন পরবর্তী কী প্রোডাক্ট আনতে চলেছে স্টিভ জোবসের সংস্থা।
অ্যাপলের আইম্যাক থেকে শুরু করে আইপড, আইফোন, আইপ্যাড কিংবা আইটিউনস–সবকিছুরই বাজার চাহিদা তুঙ্গে। খেয়াল করে দেখেছেন অ্যাপলের যে কোনও পণ্যেরই আদ্যক্ষর ‘আই’ (I) দিয়ে শুরু। এই আই-এর অর্থ কী?
অনেকের মতে, এই ‘আই’ ইন্টারনেট বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৮ সালে আই ম্যাক কম্পিউটার বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের পণ্যের নামের আগে ‘আই’ অক্ষর ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল। সেই সময় সংস্থার কর্তা স্টিভ জোবস জানিয়েছিলেন, আই ম্যাকের কম্পিউটার বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের এক নম্বর পরিষেবা দেবে। সেই সময় ইন্টারনেটের সঙ্গে পরিচিতি ঘটছে বিশ্ববাসীর। তাই জোবস ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কথাই জোর দিয়ে বলেছিলেন।
তবে অ্যাপল জানাচ্ছে, ‘আই’ অর্থে শুধু ইন্টারনেট নয়, এর তাৎপর্য আরও গভীরে। ‘আই’ মানে হল ‘ইন্ডিভিজুয়াল’, ‘ইনস্ট্রাক্ট’, ‘ইনফর্ম’ এবং ‘ইনস্পায়ার’। আই অর্থে নিজের বা পার্সোনালও বোঝানো যায়। অ্যাপল জানাচ্ছে, তাদের এক একটা পণ্যের ‘আই’ এক এক অর্থের।
আইফোন মানে হল নিজস্ব বা আমার ‘ইন্ডিভিজুয়াল’। তেমনই আই ম্যাকের ‘আই’ অর্থে ইনস্ট্রাক্ট, সেই সময় শিক্ষার প্রসারের জন্যই আইম্যাক তৈরি করেছিল অ্যাপল। তারা বোঝাতে চেয়েছিল আইম্যাক এমন কম্পিউটার যা সঠিক ইনফর্মেশন দেবে এবং উদ্বুদ্ধ বা ইনস্পায়ার করবে। ইনস্ট্রাকশন বা নির্দেশ মানতেও অদ্বিতীয় এই কম্পিউটার।
তবে গত কয়েক বছরে কমেছে ‘আই’-এর জৌলুস। অ্যাপল-এর পরবর্তী পর্যায়ের বেশ কিছু পণ্য, যেমন অ্যাপল টিভি বা অ্যাপল ওয়াচ-এ ‘আই’ অনুপস্থিত। প্রাচীন নাম পরম্পরার থেকে বেরিয়ে এসে নয়া প্রোডাক্ট রেঞ্জ তৈরি করতে সচেষ্ট অ্যাপল। আইফোন এসই-এর S মানে হল স্পিড। অ্যাপল তাদের স্মার্ট ঘড়িকে ‘আইওয়াচ’ না বলে বরং ‘অ্যাপল ওয়াচ’ বলছে। অ্যাপল মিউজিক কিংবা অ্যাপল টিভির ক্ষেত্রেও এখন আর ‘আই’ আদ্যক্ষর নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।