আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় রুপি তার ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। পরপর সাতটি লেনদেন অধিবেশন ধরে রুপি ধারাবাহিকভাবে দাম হারাচ্ছে। চলতি প্রান্তিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির মূল্য একাধিকবার কমেছে। বাণিজ্য ঘাটতি এবং বিদেশে পুঁজি প্রত্যাহারের কারণে রুপির এই পতন অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রতি ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ২৪২৫ রুপি, যা রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন দামের রেকর্ড। অক্টোবর মাসের শুরু থেকে রুপি ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের পর, রুপি এবার প্রথমবারের মতো এক প্রান্তিকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেন ভারসাম্য মোটেও স্থির হচ্ছে না। একই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে ও বন্ডের বিপরীতে অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি তার মূল্যমান হারাচ্ছে।
আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের উপাত্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর সময়ের মধ্যে ভারতের বাণিজ্য–ঘাটতি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতে বিনিয়োগ করা বিদেশি অর্থ ও ঋণ প্রত্যাহার করা হয়েছে, চলতি প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন (১ হাজার ৩০ কোটি) ডলার। এর আগের প্রান্তিকে ভারতে ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ এসেছিল।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এসব কারণে চলতি প্রান্তিকে ভারতে লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বর্তমান অর্থবছর শেষে ভারতে ২০ বিলিয়ন (২ হাজার কোটি) থেকে ৩০ বিলিয়ন (৩ হাজার কোটি) ডলারের ধনাত্মক লেনদেন ভারসাম্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে ভারতে ৬০ বিলিয়ন (৬ হাজার কোটি) ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত ছিল।
বাণিজ্যে লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতি ও শক্তিশালী ডলারের কারণে ভারতীয় রুপি চাপের মধ্যে থাকবে বলে আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক জানিয়েছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ রুপিতে দাঁড়াবে বলে ব্যাংকটি মনে করছে। অর্থাৎ ভারতীয় রুপি এ সময়ে আরো দুর্বল হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।