বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার টেলিভিশন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার অভিনীত ‘চিনি ২’ মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। সিনেমা মুক্তি পেলেও এদিন শহরে নেই তিনি। বর্তমানে অরুণাচলের পাহাড়ে ‘কে প্রথম কাছে ডেকেছি’র শুটিংয়ে ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। এই ফাঁকেই ব্যক্তিজীবনের ডিভোর্স-প্রেম ও সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন মধুমিতা।
এ অভিনেত্রী বরাবরই ব্যক্তিজীবন নিয়ে আনকাট কথা বলে থাকেন। এদিকে সমাজ আধুনিক হলেও এখনো ডিভোর্স নিয়ে মানুষের মানসিকতা বদলায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার সময় ডিভোর্স নিয়ে নিজের মতামত জানান মধুমিতা।
তিনি বলেন, বিয়ে ভেঙেছে মানে মেয়েরেই সব দোষ। দোষী যে কাউকে হতে হবে তার কোনো মানে নেই। বিয়ে ভাঙার পর যদি সেই মেয়েটা আগের থেকে আরও বেশি স্ট্রং ও স্বাধীন হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। লোকে ভাবে নিশ্চয় ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। এসব ভেবে বাঁচলে তো ডিপ্রেশনে চলে যাব আমি। আর আমি ডিপ্রেশনে গেলে কেউ বাড়িতে এসে আমাকে ভাত দিয়ে যাবে না। আমাকেই পরিশ্রম করে খেতে হবে।
পড়ালেখা শেষ করে শোবিজে পুরোদমে কাজ শুরু করেন তিনি। ক্যারিয়ারে ‘বোঝে না সে বোঝে না’ টেলিভিশন ধারাবহিকের পাখি, ‘কেয়ার করি না’র জুনি ও ‘কুসুম দোলা’র ইমন চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেন।
তিনি ২০১৫ সালে নির্মাতা, প্রযোজন ও অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের সেই বিয়ে বেশিদিন টিকেনি। ২০১৯ সালে বিচ্ছেদ হয় এই তারকা দম্পতির। বিয়ে ভাঙার পর এখনো প্রেমে বিশ্বাস করেন কিনা এই অভিনেত্রী, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রেমে বিশ্বাস আছে কিনা জানি না। আমি বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কেননা, আমি ওসব নিয়ে একদমই ভাবছি না।
মধুমিতা বলেন, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ভাবার কোনো সময় নেই। ভবিষ্যতে যদি জীবন আমার জন্য কিছু ভেবে থাকে তাহলে অবশ্যই হবে (সম্পর্ক)। আর না হলেও কোনো ক্ষতি নেই। আমার কাছে জীবনের জন্য সম্পর্কটা আবশ্যক বিষয় নয়।
এদিকে এ অভিনেত্রীকে ব্যক্তিজীবন নিয়ে সোশ্যালে অনেকবার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। সেসব কিভাবে মোকাবিলা করেছেন জানতে চাইলে বলেন, ট্রোলিং আমাকে অনেক বেশি স্ট্রং করেছে। এ জন্য ট্রোলড হওয়া নিয়ে এখন ভাবি না। একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা…। একটা মানুষের ১০টা রিলেশনশিপ ভাঙতে পারে, অথচ একটা বিয়ে ভাঙলেই মেয়েটা চরিত্রহীন। তখন তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
এ টেলি তারকা বলেন, আমার সঙ্গে এটা অনেক ধরে ঘটছে। আমি শাড়ি পরে ছবি তুললে তা লোক দেখানো, আবার সাহসী পোশাকে ছবি তুললে হয়ে যাব নির্লজ্জ। এ ক্ষেত্রে আমি বাবা-ছেলে-গাধার গল্প মনে করে নেই। আসলে মানুষের কথা শুনে নিজের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে গেলে বাঁচাই যাবে না। আমি ওসব একদমই কেয়ার করি না। আমার পরিচত মহলের মানুষ আমাকে সম্মান করলেই হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।