জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পরিষদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত নয় মাসে গণমাধ্যম অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, যা গণমাধ্যম মালিকদের আত্মরক্ষার কৌশল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Table of Contents
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতেই সরকার উদ্যোগী
শফিকুল আলম বলেন, সরকার চায় গণমাধ্যম একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও প্রেস সচিবালয়ের পক্ষ থেকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর কোনো বাধা আরোপ করা হয়নি।
অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল নিয়ে ভুল স্বীকার
দেড় শতাধিক সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এটি একটি মিসটেক হয়েছে এবং তা সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, শিগগিরই নতুন করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হবে এবং শুধু পেশাদার সাংবাদিকরাই তা পাবেন।
সাংবাদিকদের নামে হত্যা মামলা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ২৬৬ জন সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। তবে এই মামলাগুলো কারা করেছেন, কার নামে মামলা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্ত চলমান আছে এবং যারা জড়িত নয়, তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, দুই-একটি ঘটনা ছাড়া কাউকে হয়রানি করা হবে না এবং আশা করা যায়, দ্রুত এসব মামলা নিষ্পত্তি হবে।
বলুন তো লোকটির আসল স্ত্রী কে? ১০ সেকেন্ডে উত্তর দিলেই আপনি জিনিয়াস
সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রতিটি সংবাদপত্রের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন থাকা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত মতামত ও গণমাধ্যমের অবস্থান আলাদা রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বক্তব্য সাংবাদিকতার ওপর প্রভাব ফেলে, তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি, গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মিডিয়া ফ্রিডম অটুট রাখতে চায় সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।