আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিক্ষা এমন একটি মাধ্যম যার উপর ভিত্তি করে জীবন গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত। জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হন শিক্ষার্থীরা। আর শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যতম একটি বড় অংশ হলো হাতের লেখা। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের ভালো হাতের লেখা পরীক্ষায় তাদের এগিয়ে রাখে।
ভাল হাতের লেখার জন্য শিক্ষকরা প্রশংসাও করেন শিক্ষার্থীদের। তবে প্রত্যেক মানুষের হাতের লেখার স্টাইল আলাদা। কেউ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। কারো আবার লিখতে গিয়ে লেখা জড়িয়ে যায়, উঁচু-নিচু কিংবা এঁকে বেঁকে যায় অক্ষরগুলো।
আজ আপনাদের এমন এক হাতের লেখা শেয়ার করা হলো যা ছবির থেকেও সুন্দর। নেপালের এক স্কুলছাত্রীর হাতের লেখাই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এই সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী মেয়ে প্রকৃতি মাল্ল্য দেখতেও তেমনই সুন্দর ও ফুটফুটে। প্রকৃতি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে তার সুন্দর হাতের লেখার জন্য। শুধু তাই নয় তার হাতে লেখা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এখন প্রকৃতির বয়স ১৬ বছর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নেপালের সৈনিক ওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী প্রকৃতি মাল্য, তার অসাধারণ হাতের লেখার জন্য স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন। তার অসাধারণ হাতের লেখা দেখে মুগ্ধ হয় গোটা বিশ্ব।
প্রকৃতির অসাধারণ হাতের লেখা নেপালেরই এক ভদ্রলোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি মুগ্ধ হয়ে সেই লেখাটির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। আর ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় এই হাতের লেখার ছবি। গোটা বিশ্বের নেটিজেনরা পোস্ট দেখে লাইক, কমেন্ট করতে থাকেন। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান প্রকৃতি ও তার হাতের লেখা। প্রকৃতির হাতের লেখা সকলের সামনে আসার পরে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরাও পুরোপুরি বিস্মিত।
ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে প্রকৃতির হাতের লেখা। নেটিজেনরা সেই লেখা দেখে মন্তব্য করেছেন এই হাতের লেখা দেখলে মনে হয় যেন কম্পিউটারে টাইপ করা। আবার কখনো কখনো প্রকৃতির হাতের লেখা এত বেশি সুন্দর হয় যা কম্পিউটারের এমএস ওয়ার্ড এর চেয়েও বেশি সুন্দর দেখায়।
প্রকৃতি মাল্যের হাতের লেখা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেন, তার প্রত্যেকটি লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গাগুলো প্রত্যেকটি সমান। তার লেখা প্রায় নিখুঁত। আর তাই তার এই লেখা শুধু নেপাল নয় সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা।
প্রকৃতির হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন নেপাল সরকার। বলা হয়েছে, নেপালের সেরা হস্তাক্ষর এটি। নেপাল সশস্ত্র বাহিনীও তাকে পুরস্কৃত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন সকলের কাছে সেলিব্রিটি।
সূত্র : নিউজ১৮
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।