জুমবাংলা ডেস্ক : ছয় মাস বয়সী শিশু সাদ রাইয়ানের চিকিৎসার জন্য ভ্যানগাড়িতে করে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন রায়হান ও সাদিয়া দম্পতি। পথে ভ্যানগাড়ির নিচে হঠাৎ দ্রুত গতিতে একটি গুইসাপ এসে পড়ায় গাড়িটি উল্টে যায়। এসময় সাদিয়া ভ্যানের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার সুবচনী বাজারের নিকটস্থ নাগেরপাড়া সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদিয়া গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের বালিকুরি গ্রামের রায়হান শিকদারের স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের আবুল হোসেন বেপারীর মেয়ে।
ভ্যানচালক ও সাদিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু সাদ রাইয়ানের চিকিৎসার জন্য তার মা সাদিয়া ও বাবা রায়হান ভ্যানগাড়িতে করে সুবচনী বাজারে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে সড়কের ওপর দিয়ে একটি গুইসাপ দ্রুত গতিতে ভ্যানগাড়িটির নিচে এসে পড়লে গাড়িটি উল্টে যায়। এসময় সাদিয়া ভ্যানগাড়ির নিচে পড়ে যান। গাড়িতে থাকা তার স্বামী রায়হান ও ভ্যানচালক আহত হলেও শিশু রাইয়ানের কোনো ক্ষতি হয়নি। পথচারীরা দ্রুত সাদিয়াকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভ্যানচালক মন্নান বেপারী বলেন, নাগেরপাড়া থেকে ভ্যানগাড়ি চালিয়ে সুবচনী বাজারের দিকে আসছিলাম। হঠাৎ একটি গুইসাপ দ্রুত গতিতে ভ্যানগাড়ির নিচে পড়লে আমার গাড়িটি উল্টে যায়। গাড়ির নিচে পড়ে গুরুতর আহত হোন সাদিয়া আপা। সাদিয়া আপাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাদিয়াতুস হালিমর স্বামী রায়হান শিকদার বলেন, সাদিয়া খুব ভালো মেয়ে ছিল। আমার বাচ্চাটা মাত্র ছয় মাস বয়সে মা হারা হলো। এখন আমি এই শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বাঁচব কীভাবে? আমার কোনো অভিযোগ নেই, আমি মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে দেব না। পুলিশ চাচ্ছে ময়নাতদন্ত করতে।
সাদিয়ার শাশুড়ি মাজেদা বেগম বলেন, অসুস্থ নাতিকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পথে গাড়ি উল্টে গিয়ে আমার ছেলের বউ মারা গেল। মেয়েটির মা-বাবা কেউ নেই। নিজের মেয়ের মতো সাদিয়াকে আমি ভালোবাসতাম। সাদিয়া এক্সিডেন্টে মারা গেছে। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
পালং মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত হয়েছেন। পরিবার না চাইলে তার ময়নাতদন্ত হবে না। কিন্তু তাদেরকে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মরদেহটি নিতে হবে। অল্প সময় আগে দুর্ঘটনাটি ঘটায় পরিবারের সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাদেরকে সময় দিয়েছি, তারা ধীরে সুস্থে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মরদেহ নেবে বলে আশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।