জুমবাংলা ডেস্ক : মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল থেকে কোনো বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায়নি কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত এলাকার লোকজন। একইসঙ্গে টানা তিনদিন ধরে নাফ নদী সীমান্তের ওপারে দেখতে পাওয়া ‘মিয়ানমারের জাহাজ’ও শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে না।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমারের অংশে জাহাজটি ছিল। এটি শনিবার সকাল থেকে আর দেখা যাচ্ছে না। রাতের যে কোনো সময় জাহাজটি চলে গেছে। একই সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সীমান্তের ওই পাড় থেকে কোনো ধরণের বোমার ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি।
এর আগে বুধবার (১২ জুন) দুপুর থেকে নাফ নদীর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের কাছে দেখা যায় একটি বড় আকারের জাহাজ। এরপর বুধবার রাত ৯টা থেকে এপারে পাওয়া যায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। এরপর থেমে থেমে শব্দ শোনা গেছে রাতভর।
বৃহস্পতিবার সকালের পর সেই জাহাজটি দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। জাহাজ থেকে মিয়ানমারের স্থলভাগে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বর্ষণের শব্দ অব্যাহত ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ হয়। আর শনিবার জাহাজটি দেখা যাচ্ছে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সার্ভিস ট্রলারগুলো বিকল্প পথে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করছে। পাঠানো হয়েছে খাদ্যপণ্যও।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ২০০ মেট্রিক খাদ্যপণ্য পৌঁছানো হয়েছে। আগামী এক মাস খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আর যাতায়াতের জন্য বিকল্পপথ ব্যবহার করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।