জুমবাংলা ডেস্ক : যেখানে রয়েছে ছোট্ট কাঠের তৈরি ঘর। ওই ঘরে বিভিন্ন প্লাস্টিকের কৌটায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে নানা স্বাদের মসলা। পাশাপাশি রাখা হয়েছে সরিষার তেল, পেঁয়াজ, লবণ, চানাচুর, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ গুড়া, গরম পানিতে সিদ্ধ করা ছোলা, মুড়ি, গাজর, শসা ও টমেটোর স্যালাদ। যেখানে লাইন ধরে কিনতে হয় এ খাবার। যার নাম ‘বারো ভাজা’। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার মানুষ এমন জনপ্রিয় খাবার ‘বারো ভাজা’ খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গ্রামীণ হাট-বাজার, মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসে বাহারি পসরার বিকিকিনি। এসব খাবারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বারো ভাজা। মসলা, চানাচুর, ছোলা, মুড়ি দিয়ে নিমিষেই তৈরি হয় এ খাবার। দাম ১০ টাকা থেকে শুরু। কেউ কেউ এক শ’ টাকায় কিনে পরিবারের শিশু কিশোরদের চাহিদা পূরণ করে।
উপজেলার ইনাম বাজার এলাকার বারো ভাজা বিক্রেতা বাবুল হোসেন (৪২) বলেন, ‘স্থানীয় বিভিন্ন মেলা খেলা ও অনুষ্ঠানকে ঘিরে বারো ভাজার চাহিদা প্রচুর বেড়ে যায়। তাছাড়া প্রত্যেক দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন হাট বাজার ও স্কুলে আমরা ‘বারো ভাজা’ বিক্রি করি। সব শ্রেণীর লোকজনের কাছে রয়েছে এ খাবারের প্রচুর চাহিদা। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে এর কদর আলাদা।’ ভেজালমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদা প্রচুর।
আবদুর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ শান্ত মিয়া বলেন, আমরা টিফিনের সময় সাধারনত বারো ভাজা কিনে খাই। মুখরোচক বিধায় এ খাবারের চাহিদা অনেক।
পাকুটিয়া বিসি.আর.জি কলেজের স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুমন আহমেদ বলেন, ছোট বয়স থেকে আমরা এ খাবার খেয়ে আসছি। প্রচুর মজাদার। আমরা নিয়মিত এ খাবার খাই।
সাটুরিয়া কালুশাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খান মজলিশ বলেন, ‘মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এলাকা। শতশত বছর ধরে এখানে চলেছে গ্রামীণ মেলা হাট বাজার, লোক সংস্কৃতি গান বাজনা, যাত্রাপালা। এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসে হরেক রকমের পসরা ‘বারো ভাজা’র বিকিকিনি। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক, গ্যাস্ট্রিকসহ নানাবিধ কারণে এক শ্রেণীর লোকের কাছে কিছুটা হলেও কদর কমেছে। তবে সাটুরিয়ার প্রত্যেকটি অঞ্চলে এ খাবারের চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।