জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও পরবর্তীতে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে।
পরিচয় পাওয়া নিহত ১৩ ব্যক্তি হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সত্তরকান্দা এলাকার মৃত. আঃ ওহাব মোল্যার স্ত্রী মোসা. মর্জিনা বেগম (৭০), একই গ্রামের তারা মোল্যার ছেলে মো. মিলন মোল্যা (৫৫), মিলন মোল্যার ছেলে মো. রুহান (০৮), মিলন মোল্যার অপর ছেলে মো. আবু জিসান (০৩), মিলন মোল্যার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর সহস্রাইল এলাকার মৃত রশিদ খানের ছেলে তবিবুর খান (৫৫), একই উপজেলার কুসুমদী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), বেজীডাঙ্গা গ্রামের নান্নু মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), মিল্টন শেখের মেয়ে নুরানী (০২), হিতাডাঙ্গা এলাকার আলেক সরদারের স্ত্রী শুকুরন নেছা (৭০), সৈয়দ নিয়াদ আলীর মেয়ে কহিনুর বেগম (৬০) ও ইব্রাহিমের স্ত্রী সূর্য বেগম (৪০)।
পুলিশ জানায়, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত ৭ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জন মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।’
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।