নতুন পরিকল্পনায় কমে এসেছে মোহাম্মদপুরের যানজট

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর আসাদগেট, ধানমন্ডি এবং বসিলাকে সংযোগকারী মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড রাস্তার আশেপাশে রয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সমস্যার আধিক্যের ফলে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে হাজারো মানুষের, ব্যয় হয়েছে হাজারো কর্মঘণ্টা। সম্প্রতি তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ থেকে এই দুর্ভোগ লাঘবে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের নতুন পরিকল্পনায় কমে এসেছে আগের সেই চিরচেনা যানজট।

এই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মোহাম্মদপুর থেকে বের হতে যেমন তাদেরকে চরম হ্যাজার্ড অবস্থা পোহাতে হতো, দিন শেষে বাসায় ফেরতে ভোগান্তি পোহাতে হতো। বাচ্চাদের স্কুলের সময় পুরো এলাকায় যানজট লেগে থাকত। এতে চাকরিজীবী মানুষজন ওই সব রাস্তা দিয়ে অফিসে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। নতুন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার এমন সুন্দর দৃশ্য এখন তারা মুগ্ধ বলে জানান।

ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছে, মোহাম্মদপুর এলাকার যানজট নিরসনে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব হলো- মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সব গণপরিবহনের অস্থায়ী পার্কিং অপসারণ, বসিলা থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ননস্টপ সার্ভিস চালু করা, বাসস্ট্যান্ড থেকে বসিলা চার রাস্তার মোড় পর্যন্ত সব অবৈধ হকার উচ্ছেদ করে শতভাগ রাস্তা যানবাহন চলাচল উপযোগী করা, বাসস্ট্যান্ডকেন্দ্রিক বিআরটিসির বাস ডিপো থাকায় বিআরটিসির বাস দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করার সুযোগ না দেওয়া এবং এ সংক্রান্তে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যথাযথ সমন্বয় করা এবং মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডকেন্দ্রিক নতুন সার্কুলেশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এই পদক্ষেপ অনেক দিনের, বিভিন্ন পরিকল্পনার ট্রায়ালের মাধ্যম তারা আজকের এই অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছে। এমনকি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সার্বিক উন্নতির স্বার্থে বাসস্ট্যান্ডের অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি অপসারণ করে রাস্তা ও ইন্টারসেকশন প্রশস্ত করার উদ্দেশ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পত্র পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল জানান, মোহাম্মদপুর থেকে অনেক পরিবহন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। মানুষজনের যাতায়াতও বেশি। নতুন পরিকল্পনায় আগের তুলনায় অনেকটা যানজট নিরসনে হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় এবং ক্রমাগত প্রচেষ্টায় নতুন ট্রাফিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলো, যার সুফল এখন নগরবাসী পাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রাণপ্রিয় ঢাকা শহর আরও বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে, কমে আসবে চিরচেনা যানজট এমনটাই প্রত্যাশা সবার।