বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নিত্যপণ্য কেনাকাটা থেকে শুরু করে সরকারি সেবা, সবই এখন সহজে মিলছে অনলাইনে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার। তবে এরই মাঝে, গত কয়েক মাসে ধারাবাহিকভাবে কমছে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন- বিটিআরসি বলছে, গত তিন মাসে দেশে ইন্টারনেটের গ্রাহক কমেছে ২২ লাখের বেশি। সম্প্রতি সংস্থাটির তথ্য জানিয়ে একটি হিসাব প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, গত নভেম্বরে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ১৪ লাখের বেশি। তিন মাসের ব্যবধানে জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজারে। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ১১ কোটি ৬৩ লাখ ও ব্রডব্যান্ড গ্রাহক এক কোটি ২৮ লাখের বেশি।
মোবাইল অপারেটররা বলছেন, খরচ কমাতে গ্রাহকেরা একাধিক সিম ব্যবহার বন্ধ করায় এই পরিবর্তন। আর সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি বলছে, ব্রডব্যান্ডের রাউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির আমদানি ব্যয় বাড়ায় সেবার পরিধি বাড়ানো যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলটরি অফিসার সাহেদুল আলম জানান, অনেক গ্রাহক ব্যয় কমাতে একাধিক সিমে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করেছেন। এতে কমেছে তাদের সংখ্যা। বছরের মাঝামাঝিতে গ্রাহক বাড়ার আশা করছেন তারা।
এদিকে, ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা না কমলেও, আশানুরূপ বাড়ছে না। ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে রাউটারসহ ইন্টারনেট সেবার সব যন্ত্রপাতির দাম বেড়েছে। এ কারণে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের পরিধি ও গ্রাহক বাড়ানো যাচ্ছে না।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার ইন্টারনেট সেবা। তাই ইন্টারনেটের গ্রাহক কোথায় এবং কেন কমছে তা সরকারের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
প্রান্তিক থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সরকারের সব সেবা পূর্ণাঙ্গভাবে ইন্টারনেট ভিত্তিক করারও পরামর্শ তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।