জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন তারা। সেইসঙ্গে আগামী নির্বাচন, সংস্কার ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়েও দু’পক্ষ নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। পরে সাংবাদিকদের মঈন খান বলেন, সারাহ কুকের সঙ্গে দেশের চলমান অবস্থা, রাজনীতি, শিক্ষা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতাসহ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যদি কেউ বলে, তুমি কি পোলাও কোরমা চাও নাকি ভোট দিতে চাও। তখন মানুষ কিন্তু বলবে, আমি ভোট দিতে চাই। এটা (ভোট) বাংলাদেশের মানুষের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। তারা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে।
নির্বাচন নিয়ে কী কথা হয়েছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে চায়। নতুন প্রজন্ম যারা দীর্ঘ ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি, তারা ভোট দিতে চায়। আলোচনা করেছি, ভবিষ্যতে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ যখন বাংলাদেশে পুরোপুরি ফিরে আসবে, যখন এখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার হবে, তখন বিলেতের সঙ্গে আমরা ভবিষ্যতে কোন কোন বিষয়ে ও কার্যক্রম উন্নত করতে পারি, জোরদার করতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মঈন খান বলেন, ১৩ জুন একটি মিটিং হয়েছে। এটা অবাক কাণ্ড। আমি ড. ইউনূস সাহেবের সঙ্গে দেখা করে বলেছি, আপনি শুধু নির্বাচনের দিনটি ঘোষণা দেন, দেখবেন বাংলাদেশের সব সমস্যা এক দিনে দূর হয়ে যাবে। ১৩ জুনের পর থেকে বাংলাদেশে একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটি কিন্তু অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মানুষ এখন উৎসাহী, সামনের দিকে তাকাচ্ছে। মানুষ চিন্তা করছে যে, দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই গণতন্ত্রের জন্যই তো বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। একাত্তরে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্র প্রয়োজন এবং গণতান্ত্রিক যে প্রতিষ্ঠান, সেগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে। শক্তিশালী করতে হবে। যাতে মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার এদেশে প্রয়োগ করতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়ে মঈন খান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থিরতার উদ্ভব কিন্তু সেই গাজা উপতক্যা থেকেই। বিশ্ব এই যে একটা অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে, এটা তো কোনো সুস্থ পরিবেশ নয়। ইরান ও ইসরাইলের সর্বশেষ যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে; আমাদের একটিই কথা আমরা শান্তিময় একটি বিশ্ব দেখতে চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।